Main Menu

নাসিরনগরে ভিক্ষুকদের কাছ থেকে কর আদায় করছেন ইউপি চেয়ারম্যান

+100%-

ইউনিয়ন পরিষদের খাজনা আদায়ের নামে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে ও ভিক্ষুকদের বসতবাড়ির ওপর কর আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৬নং বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম মুজাম্মেল হক সরকারের বিরুদ্ধে। ইউপি চেয়ারম্যানের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত দুই দিন ধরেই বিক্ষোভ করছে এলাকার সাধারন মানুষ । সোমবার সকাল ১০টায় লক্ষীপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। এ সময় তারা সাধারন অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ ফেরত চেয়ে স্লোগান দেন।

বুড়িশ্বর ইউনিয়ন লহ্মীপুরের বাসিন্দারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে জানান, ১৫দিন ধরে চেয়ারম্যানের লোকজন বসতবাড়ির ওপর ট্যাক্স তুলছেন। নির্ধারিত কোনো হার ছাড়াই মনগড়া হিসেবে যখন যার কাছ থেকে যত পাচ্ছেন তখন তার কাছ থেকে তত টাকা আদায় করছেন।

স্থানীয় বাসীন্দা মো:আব্দুল কাদির জানালেন,আমার কাছ থেকে ২৪৩০ টাকা নিয়েছে।
একই অভিযোগ করে মো: ইব্রাহিম মিয়া বলেন আমার পরিবারের কাছ থেকে ৮০০০ টাকা নিয়েছে। তারা আরো বলেন, যারা টাকা আদায় করছেন তারা কেউ ইউনিয়ন পরিষদের অধীনস্থ নন। অপরিচিত লোকজন এসে হামলা-মামলার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেছেন।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভিক্ষুক মো: আব্দুল হাই(৬৫) বলেন , পাশের বাড়ির একটা ভাঙ্গা খ্যাড়ের ঘরে থাকি। মানুষের কাছে হাত পাতি ভিক্ষা করি একমুঠ খাই। আমরা ক্যামন করি বাড়ির কর দিমো।’
তার অভিযোগ, ‘কয়দিন আগে চেয়ারম্যান লোক পাঠাইছে টাকার জন্য। কিসের টাকা? শুনিতে চাইলে কয় তোমাকে চেয়ারম্যান কার্ডটা দিবে।

লক্ষীপুর গ্রাম বাজারের ঝাড়ুদার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাজারে কাম করি খাই। সরকার আমাদের কোনো সাহায্য দেয় না । তাও চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে জমির কর নেয়। এ্যার আগেত আমার কাছ থেকে কেহ টেক্স চায় নাই।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এটিএম মোজাম্মেল হক সরকার বলেন, ‘মানুষের ভালো করতে হয় না। এর আগে কোনো চেয়ারম্যান এভাবে জনগণকে রেজিস্টারভুক্ত করেনি। আমিই প্রথম এমন একটা উদ্যোগ নিলাম। সেখানেও বদনাম!’ সরকারের বসতবাড়ির ওপর কর আদায়ের নির্দেশ আছে এমন দাবি করে তিনি বললেন, ‘ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে তা করা হয়েছে। ভিক্ষুক ও অসহায়দের কাছ থেকে কর আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।
এ ব্যাপারে লহ্মীপুর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা সর্বনিম্ন ৫০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কর নিচ্ছি। যদি অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন রশিদ কেউ দেখাতে পারে তাহলে গামছা গলায় দিয়ে সারা গ্রামে ঘুরব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিয়াকত আলী বলেন, প্রথমে কোন প্রকার এসেসমেন্ট তৈরি না করে এই ভাবে খাজনা আদায় তারা করতে পারেনা। এবং বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।






Shares