র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী
‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে,
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’
কবি ভাবনার সেই ‘কাজে বড়’ ছেলে রবিউল আলম চৌধুরী (র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী), যিনি মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে একদিন অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন স্বদেশের মুক্তির লক্ষ্যে, তিনি এক বণার্ঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী।
শিক্ষা জীবন : ১৯৬৯ সালে তিনি দ্বীনি শিক্ষার অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠ মাদ্রাসা-ই- আলীয়া, ঢাকা থেকে ১৬ তম স্থান অধিকার করে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ‘ঢাকা কলেজ’-এ। ১৯৭২ সনে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে (অনার্স) ভর্তি হন। ১৯৭৬ সনে ২য় শ্রেণীতে ২৯তম স্থান নিয়ে কারাগার থেকে অনার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৮ সনে ২য় শ্রেণীতে ৪র্থ স্থান অধিকার করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাষ্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৮১ সনে বুলেগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় অবস্থিত জর্জি দিমিত্রভ ইনষ্টিটিউট থেকে লেবার ম্যানেজমেন্টর ওপর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৬ সনে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি), থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ‘হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ফর রুরাল প্রোভার্টি এ্যালিভিয়েশন’ (গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) কোর্সের ওপর ডিপ্লোমা লাভ করেন।
একজন ছাত্র নেতা : ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজে ভর্তির সময় প্রথমেই তার পরিচয় হয় তদানিন্তন তুখোড় ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু তনয় শহীদ শেখ কামালের সাথে। সময়টা ছিল খুবই কঠিন। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ঢেউয়ে উত্তাল দেশ। এ ঢেউয়ের হাওয়া ঢাকা কলেজেও লাগে। এমন সময়ে কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান রবিউল আলম মো. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী) এ নির্বাচনে ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সনে তিনি তদানিন্তন পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা :স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে জনাব রবিউল মোকতাদির চৌধুরী, শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি, জনাব সিরাজুল আলম খান, জনাব আব্দুর রাজ্জাক ও জনাব তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্টের (মুজিব বাহিনী) গেরিলা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার জোন বি-এর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে জনগণের সাথে মিশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনগণকে সংগঠিত করেন এবং কয়েকটি দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন। তাঁর যুদ্ধাঞ্চলে তিনি আজও একজন কিংবদন্তি যোদ্ধা হিসেবে জনগণের মাঝে পরিচিত হয়ে আছেন। ১৯৭১ সালের অক্টোবরে তিনি যুদ্ধে আহত হয়ে ভারতে চলে যান চিকিৎসার জন্য।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতিতে :স্বাধীনতা উত্তর সময়ে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হন এবং সংগঠনের সংকট কালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ সময়ে তিনি ছাত্রলীগের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র রচনায় দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগের অনিয়মিত মুখপত্র ’মাতৃভূমি’- এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সনে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন সমন্বয়ে গঠিত ‘ছাত্র সমাজের শিক্ষা কমিশন’ -এর সদস্য মনোনীত হন। এ কমিশনের আহবায়ক ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের তদানিন্তন সহ-সভাপতি, পরবর্তীতে সভাপতি, জনাব নূহ উল আলম লেনিন। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সর্ব জনাব আতিকুল ইসলাম আলমগীর (অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক), নিমচন্দ্র ভৌমিক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক), অজয় দাশগুপ্ত ও আনোয়ার হোসেন। এ কমিশন তাদের রিপোর্ট ড.কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের কাছে প্রস্তাব আকারে পেশ করেছিল।১৯৭৫ সনের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বাকশাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় গঠিত হয় বাকশালের অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগ। এ সংগঠনের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন জনাব চৌধূরী।
কারাবরণ :১৯৭০ সনে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তিনি স্বৈরশাসক ইয়াহিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার বরণ করেন। ১৯৭৬ সালে অক্টোবরে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে গিয়ে স্বৈরশাসক জিয়া কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। এবং ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি লাভ করেন। ২০০৮ সনে সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে তথাকথিত মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। পরবর্তী সময়ে মাননীয় হাইকোর্ট কর্তৃক সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
সিভিল সার্ভিসে :১৯৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন তিনি। ১৯৮৬ তে তদানিন্তন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন তিনি।
১৯৯৪ তে হবিগঞ্জ সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করেন। (এ সময় কর্মদক্ষতার কারণে সরকার তাঁকে কয়েক মাস লাখাই থানার নির্বাহী অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বও প্রদান করে)।
২০০৫ সালের ৯ আগষ্টে তিনি সরকারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৬ সালের ২৩শে অক্টোবর সরকার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
১৯৯৪ তে হবিগঞ্জ সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করেন। (এ সময় কর্মদক্ষতার কারণে সরকার তাঁকে কয়েক মাস লাখাই থানার নির্বাহী অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বও প্রদান করে)।
২০০৫ সালের ৯ আগষ্টে তিনি সরকারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৬ সালের ২৩শে অক্টোবর সরকার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
জনতার মঞ্চ : ১৯৯৬ সনের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন র্নিবাচনের প্রহসনের পর খালেদা জিয়ার বৈধতাহীন সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্যায়ে ‘জনতার মঞ্চ’ সংগঠনে তিনি কাজ করেন। একইভাবে ১৯৯০ সনে এরশাদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা গণঅভ্যুত্থানে সিভিল সার্ভিসকে সম্পৃক্ত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৯৬ এর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার রেডিও টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত নির্বাচনী বক্তৃতা প্রস্তুত করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৯৬ তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন সরকারের প্রথম দিনে এবং ২০০১ সনে সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত তার সাথে কাজ করেন।
১৯৯৬ এর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার রেডিও টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত নির্বাচনী বক্তৃতা প্রস্তুত করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৯৬ তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন সরকারের প্রথম দিনে এবং ২০০১ সনে সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত তার সাথে কাজ করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা :তিনি জনতার মঞ্চ সংগঠনের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা’-এর আসামি ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা হয়েছে। তিনি নানাভাবে খালেদা-নিজামী সরকারের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। গত ২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপি দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারে তাঁর নাম উল্লেখ করে তাঁকে নির্যাতন ও নিপীড়নের টার্গেট করা হয়েছে। ২০০৬ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৭ অক্টোবর সংঘটিত একটি ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের সাথে বিএনপি তাকে সহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেছাসেবকলীগের ৩৯ জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত শেষে সত্য প্রমাণ না হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দেশ-বিদেশে :জনাব রবিউল মোকতাদির চৌধুরী ছাত্র নেতা হিসেবে এবং পরবর্তী সময়ে সরকারি কাজে পৃথিবীর নানা দেশে ভ্রমণ করেছেন। ১৯৭৫ সনে ইরাক ভ্রমণ করেন ইরাকের জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের দশম কংগ্রেসে ছাত্র প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে। ১৯৯৫ সনে পরিবেশ বিষয়ক একটি সেমিনারে সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো ভ্রমণ করেন।
হজ্ব পালন :১৯৯৬ তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পবিত্র ওমরাহ্ হজ্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আরও একবার ওমরাহ পালন করেন ১৯৯৯ সনে। ২০০৯ তে স্বপরিবারে হজ্বব্রত পালন করেন এবং ২০১০ সনে সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে হজ্বব্রত পালন করেন। ২০১১ সনে উপনির্বাচনে জয় লাভ করার পর তিনি সস্ত্রীক ওমরাহ পালন করেন।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলে :প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৬ সনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সফর করেন। তিনি উভয় অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি পাকিস্তান, জর্দান, সিরিয়া, মরক্কো, ভারত, জার্মানী, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, ফিলিপাইন ও যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন। সরকারি কাজে জাপান ভ্রমণ করেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, অষ্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, প্রভৃতি দেশও ভ্রমণ করেন। ২০০৯ ও ২০১০ সনে তাজিকিস্তান, মালয়েশিয়া ও আরব আমিরাত সফর করেন সরকারি ও ব্যক্তিগত সফরে।
পানি চুক্তি : ১৯৯৬ সনে দিল্লীতে গঙ্গার পানি চুক্তি সম্পাদনের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন।
ওআইসি তে :তিনি লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার বিশেষ (ওআইসি) অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নে :ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা, সরাইল উপজেলা ও নব গঠিত বিজয়নগর উপজেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উন্নয়নে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনাব রবিউল আলম মোকতাদির চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা গঠনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ, আশুগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ, গৌতম পাড়া বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঘাটিয়ারা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় রয়েছে তার অগ্রণী ভূমিকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স কোর্স সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার অবদান স্মরণীয়। নতুন স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তিকরণ, পুরনো ও নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, নতুন নতুন সড়ক, ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণে তার অবদান অনস্বীকার্য। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া সড়ক, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জেলা কারাগার প্রভৃতি নির্মাণে তার ভূমিকা ছিল মূখ্য। তাছাড়া নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার এবং সাদেকপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মধ্যে বদগনি খালের ওপর পাকা ব্রীজ নির্মাণ করেন। এই ব্রীজটি নির্মাণের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল এবং নবীনগর উপজেলার উত্তর পূর্বাঞ্চলের বড়াইল, বীরগাঁও ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ সময় কালে আশুগঞ্জ, সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে তার রয়েছে গভীর সম্পৃক্ততা। গ্রাম থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ও উপজেলা থেকে জেলা সদরের সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ, ভুলতা- নবীনগর-রাধিকা সড়ক উন্নয়নে তার রয়েছে অনন্য কর্ম প্রয়াস। প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণে ও প্রায় ৩০০ ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণে তার উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চিনাইর ও মকুন্দপুর দুটি এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনে তার অবদান রয়েছে। এছাড়া চম্পকনগর কলেজ এমপিও-ভুক্তকরণ এবং দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে তিতাস পূর্বাঞ্চল (বর্তমানে বিজয়নগর উপজেলা)’র শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স কোর্স সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার অবদান স্মরণীয়। নতুন স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তিকরণ, পুরনো ও নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, নতুন নতুন সড়ক, ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণে তার অবদান অনস্বীকার্য। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া সড়ক, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, জেলা কারাগার প্রভৃতি নির্মাণে তার ভূমিকা ছিল মূখ্য। তাছাড়া নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার এবং সাদেকপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মধ্যে বদগনি খালের ওপর পাকা ব্রীজ নির্মাণ করেন। এই ব্রীজটি নির্মাণের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল এবং নবীনগর উপজেলার উত্তর পূর্বাঞ্চলের বড়াইল, বীরগাঁও ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ সময় কালে আশুগঞ্জ, সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে তার রয়েছে গভীর সম্পৃক্ততা। গ্রাম থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ও উপজেলা থেকে জেলা সদরের সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ, ভুলতা- নবীনগর-রাধিকা সড়ক উন্নয়নে তার রয়েছে অনন্য কর্ম প্রয়াস। প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণে ও প্রায় ৩০০ ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণে তার উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চিনাইর ও মকুন্দপুর দুটি এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনে তার অবদান রয়েছে। এছাড়া চম্পকনগর কলেজ এমপিও-ভুক্তকরণ এবং দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে তিতাস পূর্বাঞ্চল (বর্তমানে বিজয়নগর উপজেলা)’র শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।
আশুগঞ্জ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে :আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (মেঘনা সেতু) নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিক ও ব্যবসায়ীদের পূনর্বাসনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
ছিন্নমূল মানুষের পূনর্বাসনে :সদর উপজেলার চিনাইর, চান্দুরা, মজলিশপুর ও চিনাইর আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে শতাধিক ছিন্নমূল মানব পরিবারের পূণর্বাসনে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
আর্ত মানবতার সেবায় :১৯৯৮ ও ২০০৪ সনের ভয়াবহ বন্যার সময়ে তিনি দুঃস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। নিজ গ্রামে কমিনিউটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য ৫ শতাংশ জমি দান করেছেন। বর্তমানে সেখানে কমিনিউটি ক্লিনিকটি চালু আছে। এছাড়া সমাজের দুঃখী মানুষের কল্যাণে তিনি নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন।
আর্ত মানবতার সেবায় :১৯৯৮ ও ২০০৪ সনের ভয়াবহ বন্যার সময়ে তিনি দুঃস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। নিজ গ্রামে কমিনিউটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য ৫ শতাংশ জমি দান করেছেন। বর্তমানে সেখানে কমিনিউটি ক্লিনিকটি চালু আছে। এছাড়া সমাজের দুঃখী মানুষের কল্যাণে তিনি নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন।
সজ্জন ব্যক্তিত্ব :অসাধারণ মানবিক গুণসম্পন্ন রবিউল মোকতাদির চৌধুরী কবি, সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-আলেম-শিক্ষক-ব্যবসায়ী-চাকুরীজীবী-পীর-দরবেশ থেকে শুরু করে কৃষিজীবী দিনমজুরসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন স্বচ্ছন্দে। সকলের সাথেই তার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে তিনি সকলের নিকট একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে আদরণীয় হয়ে উঠেছেন।
একজন লেখক ও সম্পাদক :তিনি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহে এবং সাপ্তাহিক পত্র পত্রিকায় নিবন্ধ ও কলাম লিখে থাকেন। তিনি একজন লেখক, প্রবন্ধকার ও সুবক্তা। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: (১) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এবং বিবিধ প্রসঙ্গ (২) ইসলাম, সন্ত্রাসবাদ, রাজনীতি ও প্রশাসন (৩) সময়ের কথকতা (৪) দুরারোগ্য সময় এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা (৫) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঃ জীবন ও কর্ম (৬) ইসলামের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল (মদীনা সনদ, হুদাইবিয়ার সন্ধি ও বিদায় হজ্বের ভাষণ) (৭) …… গণতন্ত্র ও সময়ের কথা। এছাড়া ছদ্মনামে লেখা গ্রন্থ ‘নির্বাচন ২০০১ এবং বিচারপতি লতিফুর রহমানের কথকতা” উল্লেখযোগ্য। তিনি পাক্ষিক সাময়িকী ‘মত ও পথ’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক।
জনাব চৌধুরী সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, এম.এইচ. শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক এবং সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রার হিসাবে কর্মরত আছেন।
জনাব চৌধুরী সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, এম.এইচ. শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক এবং সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রার হিসাবে কর্মরত আছেন।
পারিবারিক তথ্য :তার স্ত্রী মিসেস ফাহিমা খাতুন বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সদস্য ও অধ্যাপক। বর্তমানে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। একমাত্র কন্যা মুহসিনা ফারহাত চৌধুরী অšে¦ষা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের ছাত্রী।
পরিশেষ :মানুষের সেবা ও মানবকল্যাণের ব্রত নিয়ে জনাব চৌধুরী একদিন ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছিলেন। এরপর সরকারি চাকুরিতে যোগদান করলেও মা মাটি ও মানুষের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন।
“স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ঘিরে
রবিউল আছে সবার তরে
গ্রামীণ উন্নয়নের রূপকার
রবিউল মোদের অহংকার।”
– জনৈক চারণ কবি
রবিউল আছে সবার তরে
গ্রামীণ উন্নয়নের রূপকার
রবিউল মোদের অহংকার।”
– জনৈক চারণ কবি
« Add2 (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) লুৎফুল হাই সাচ্চু »