মোঃ কামরুল ইসলাম
এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম ১৯৫০ সালের পয়লা জুন পুরনো ঢাকার উর্দু রোডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম প্রিন্সিপাল হাকিম খুরশিদুল ইসলাম এবং মাতার নাম মরহুমা হালিমা খাতুন চৌধুরানী। তাঁরা ৬ বোন ও ৩ ভাই। ভাইদের মধ্যে এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলামের অবস্থান দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই ড. আনোয়ার ইসলাম বর্তমানে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এবং ছোট ভাই মোরশেদুল ইসলাম সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা।
এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম ঢাকার আরমানিটোলা সরকারী হাইস্কুল থেকে ১৯৬৫ সালে এস এস সি, ১৯৬৭ সালে গভর্ণমেন্ট ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে কবি নজরুল সরকারী কলেজ) থেকে এইচ এস সি এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাস করেন। পরবর্তীতে এল.এল.বি পাশ করার পর ১৯৮৫ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) এর প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বার ও সুপ্রীম কোর্ট বারের সদস্য এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
১৯৯৯ সালে ঢাকা মহানগর জেলা ও দায়রা জজ স্থাপনের পর এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম প্রথম পিপি নিযুক্ত হন। এর আগে ১৯৯৬-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি ও ভারপ্রাপ্ত পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিকিউশনের অন্যতম আইনজীবী এবং জেল হত্যা মামলার স্পেশাল পিপি ছিলেন।
এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলামের স্ত্রী তায়েবা ইসলাম। তাঁরা তিন কন্যা ও এক পুত্রের পিতামাতা। তিন কন্যা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী এবং একমাত্র পুত্র বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত।
এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।