Main Menu

হাজারো ভক্তের ভিড় মোহাম্মদ আলীর জানাজায়

+100%-

ali-3সর্বকালের সেরা বক্সার মোহাম্মদ আলীর বাড়ি কেনটাকির লুইসভিলে তার দাফন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সেখানে জড়ো হয়েছে হাজারও মানুষ। ক্যারিয়ারের শুরুতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তখন ক্যাসিয়াস ক্লে হিসেবে পরিচিত আলী। আর বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুশোকে কাতর হয়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রার্থনা করেছে তার জানাজায়।

বৃহস্পতিবার হয়েছে আলীর পারিবারিক জানাজা অনুষ্ঠান। শুক্রবার হবে আনুষ্ঠানিক বিদায় অনুষ্ঠান। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে আলীকে বিদায় শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনসহ অনেক বড় বড় মানুষ উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে। সব আয়োজনের পর মুসলিম ধর্ম মতে আলীকে দাফন করা হবে। ৭৪ বছর বয়সে আলী গত শুক্রবার মারা গেছেন।

মোহাম্মদ আলীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি মুষ্টিযুদ্ধের রিংয়ের ভেতর আজীবন আগ্রাসী যুদ্ধ করেছেন। তার প্রতিপক্ষ বুঝে ওঠার আগেই ধরাশায়ী করেছেন তাকে। কিন্তু রিংয়ের বাইরে তিনি সম্পূর্ণ উল্টো মানুষ, যে কিনা শান্তি চায়, মানুষের মঙ্গল চায়। এটা অতি দুর্লভ বৈশিষ্ট্য।

বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল তার জানাজায়। মানুষের চোখে তিনি শুধু মুষ্টিযুদ্ধে একজন বিজয়ী নন, তিনি জনমানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব।

মোহাম্মদ আলী তিনবার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। একাধারে একজন দক্ষ ও চতুর খেলোয়াড়, রাজনৈতিক কর্মী এবং মানবতাবাদী আলী অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের একটি হাসপাতালে সেপটিক শকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বক্সিং খেলাটিকে বিশ্বের আপামর মানুষের কাছে যিনি জনপ্রিয় করেছিলেন তিনি আলী। বক্সিং রিংয়ে প্রজাপতির মতো নেচে নেচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার দৃশ্যটি মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখত। এই বাংলাদেশেও তার অসংখ্য ভক্ত তৈরি হয়েছিল।

আশির দশকে বিটিভিতে যখন তার ম্যাচ প্রচারিত হতো তখন রাস্তাঘাট খালি হয়ে যেত। কোনো ম্যাচে তিনি হেরে গেলে কেঁদে বুক ভাসাতো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছটিয়ে থাকা তার লাখো কোটি ভক্ত।

তিনি তিনবারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাপিয়ন এবং অলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজয়ী হন। ৬১টি বক্সিং প্রতিযোগিতার মধ্যে ৫৬টিতেই জয়ী হন তিনি। পরাজিত হয়েছিলেন মাত্র পাঁচবার।






Shares