Main Menu

মুস্তাফিজুরের কাঁধে অস্ত্রোপচার সফল, মাঠে ফিরতে অন্তত চার মাস

+100%-

imageআনন্দবাজার:: চোট আঘাত পাওয়া ক্রিকেটারদের বিদেশে পাঠিয়ে অস্ত্রোপচার আগেও অনেক বার হয়েছে। কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানের বাঁ কাঁধের টেলিস্কোপ সার্জারি নিয়ে যে হইচই আর কৌতুহল তার তুলনা নেই। লন্ডনের বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালে অপারেশনের আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছিল প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীকে। বাঁ হাতি কাটার মাস্টারকে সাহস দিতে ঢাকা থেকে ছুটে গেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্বয়ং। বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৫টায় শেষ হয় ঘণ্টাখানেকের অপারেশন। পুরো সময়টাই নিজে হাসপাতালে ছিলেন বিসিবি সভাপতি। “আগে কখনও হাসপাতালেই যায়নি মুস্তাফিজ।তাছাড়া শুনেছি সুই একটু ভয় পায়। সেই কারণেই ওকে সাহস দিতে এসেছি”- বলেন বিসিবি সভাপতি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত খোঁজ-খবর রেখেছেন। অপারেশন টেবিলে যাওয়ার আগে বিসিবি সভাপতির ফোনে কল করে মুস্তাফিজের সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাহস জুগিয়েছেন।

ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের আগে মুস্তাফিজুরকে দেখতে গেছেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার খন্দকার তালহা। বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় দুপুর ২টোয় (ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬টা) মুস্তাফিজুরের টেলিস্কোপ সার্জারি হওয়ার কথা ছিল। তবে তা শুরু হতে হতে বিকেল হয়ে যায়। বাঁ কাঁধের ছেঁড়া দু’টি স্ল্যাপে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে সুখবর দেন বিশেষজ্ঞ সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালশ। আপাতত ইন্টেনসিভ কেয়ারে আছেন মুস্তাফিজুর।

শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা। তার পর প্রয়োজনীয় ফিজিও থেরাপি নিয়ে, রিহ্যাব রুটিন জেনে বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর সঙ্গে আগামী বুধবার ফ্লাইট ধরার কথা মুস্তাফিজুরের। মাঠে প্রধান বোলিং অস্ত্র মুস্তাফিজুরকে একটু বেশিই স্নেহ করেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। হাঁটুর লিগামেন্টে পাঁচ-পাঁচবার জটিল অপারেশন হয়ে গেছে তাঁর। ফোনে তিনি সাহস জুগিয়েছেন মুস্তাফিজুরকে। নিজের পাঁচবারের অপারেশনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, কাঁধের স্ল্যাপের এই অস্ত্রোপচার সেখানে মামুলি। ফ্যান পেজে সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান রুম্মান,তাসকিন আহমেদও জানিয়েছেন শুভকামনা।

মুস্তাফিজুরের জন্য উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বাবা, মা-সহ গোটা পরিবারের। কাছ থেকে ছেলের অপারেশনের খোঁজ-খবর রাখতে পারছেন না। গতকাল পরিবারের সবাই মুস্তাফিজুরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে রোজা রেখেছেন। রোজা পালন শেষে মুস্তাফিজুরের জন্য দোয়া করেছেন তারা।

সাসেক্সে খেলতে গিয়ে অনুশীলনের সময়ে কাঁধে চোট পান তিনি। সাসেক্স কিন্তু তাঁর চিকিৎসার পুরো খরচ কিন্তু বহন করছে না। প্রায় ন’হাজার পাউন্ড খরচ করতে হচ্ছে বিসিবিকে। যার মধ্যে এই অপারেশনের জন্য সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেশের ফি সাড়ে চার হাজার পাউন্ড! এমআরআই রিপোর্ট দেখে ছ’মাস মাঠের বাইরে মুস্তাফিজুরকে কাটাতে হবে বলে ভেবেছিলেন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক। তবে অস্ত্রোপচার যেমন সফলভাবে হয়েছে, তাতে চার মাসেও তাঁর ফিরে আসা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।






Shares