Main Menu

বিপাকে আশুগঞ্জের চাতাল মালিকরা

+100%-

1_37429প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ’চাতাল নগরী’ হিসেবে পরিচিত আশুগঞ্জ। সরকার ইতিমধ্যেই সেখান থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে এবার গত বছরের তুলনায় চাল সংগ্রহের টার্গেট কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাল কল মালিকরা।
এদিকে ’অস্থিত্বহীন’ কয়েকটি চাল কলের সঙ্গেও চুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভায় আলোচনা হলেও তা গোঁজামিল দিয়ে শেষ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, এমন হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর আশুগঞ্জ ৬৪১৮ মেট্রিক টন সেদ্ধ ও ৫৭৩৩ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের টার্গেট বেধে দিয়েছে সরকার। অথচ গত বছর ১৭৯৩৯ মেট্রিক টন সেদ্ধ ও ১৩২০৩ মেট্রিক টন চাল আতপ চাল সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। এ বছর প্রায় আড়াই শতাধিক চাল কলের সঙ্গে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়।
অভিযোগে উঠেছে, অস্থিত্ব নেই এমন অন্তত পাঁচটি কলের সঙ্গে চাল কেনার চুক্তি করা হয়। এর মধ্যে দু’টি প্রতিষ্ঠানের জায়গায় গত দু’ছর ধরেই বহুতল ভবন উঠছে। একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে বালু রেখে ব্যবসা করা হচ্ছে। অন্য দু’টিও বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে।
চাল কল মালিক মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, গত বছর তিনি ১০০ টন চাল সরবরাহ করেছিলেন। কিন্তু এবার তাকে ৩৫ টন চাল সরবরাহের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ’সিদ্ধান্ত বদল করে সরকার এবার চাল কেনার আগে ধান কিনেছে। যে কারণে এখন বাজারে ধান কম থাকায় দাম বেশি। একেতো টার্গেট কম তার উপর দাম বেশি পড়ায় আমরা লোকসানের মুখে পড়ব’।
আশুগঞ্জ চাতাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, ’সরকার চাল সংগ্রহে এবার খুব কম সময় বেধে দিয়েছে। আগে মে থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু এবার মাত্র তিন সপ্তাহের মতো সময় বেধে দেওয়ায় নির্ধারিত চাল দেওয়া সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে আগামী রবিবার লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে’।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবু কাউছার বলেন, ’চলতি বছর আশুগঞ্জ থেকে চাল সংগ্রহের টার্গেট গতবারের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ কমে এসেছে। সরকার চাইছে আধুনিক ডায়ার মিল থেকে বেশি বেশি চাল নিতে। কিন্তু আশুগঞ্জে মাত্র শাহজালাল সুপার অটো নামে মাত্র একটি ডায়ার মিল রয়েছে। যে কারণে টার্গেট কমেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’অভিযোগ উঠার পর চারটি চাল কলের নাম চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি আরো এমন থাকে তাহলে খোঁজ নেওয়া হবে’।






Shares