Main Menu

সরাইলে কৃষি কার্ডের মূল্য ১০০ টাকা

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে ॥ সারা দেশের ন্যায় সরাইলের কৃষকদেরকেও  দেওয়া হচ্ছে “কৃষি উপকরন বিতরন কার্ড।” এ কার্ড ধারীরা বিনামূল্যে কৃষি ক্ষেত্রে পাবে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। সুবিধা পাওয়ার আগেই কৃষকদেরকে কাহিল করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি। এক’শ/ দেড়’শ টাকা করে বিক্রি করছেন এ কার্ড। টাকা না দিলে কার্ড না পাওয়ার একাধিক অভিযোগও পাওয়া গেছে। উপজেলার পাকশিমূল ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ড বড়–ইছাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে। ওই গ্রামের বাসিন্ধা নরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ খাইরুল সহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, পাকশিমুল ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) মহিলা ইউপি সদস্যা জেসমিন আক্তার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হেলাল মিয়া মিলে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে এক’শ/দেড়’শ টাকায় “কৃষি উপকরন বিতরন কার্ড” বিক্রি করছেন। টাকা না দিতে পারলে তালিকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রকৃত কৃষকের। এ পর্যন্ত শতাধিক লোকের কাছ থেকে তারা টাকা আদায় করেছেন। স্থানীয় সালিসকারক আবুল কাশেম ও রইছ মিয়া সহ অনেকে অভিযোগকারী কৃষকদের বিষয়টি নিস্পত্তির আশ্বাস দেন। দুইদিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে সালিসকারকরা এখন নিরব। এ বিষয়ে মহিলা ইউপি সদস্যার মুঠোফোনে (০১৭১৫-৬১৭৮০১) ফোন দিলে তার স্বামী নোয়াব আলী রিসিভ করে কৃষকের কাছ থেকে স্ত্রীর টাকা নেওয়ার ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, আর কারো কাছ থেকে টাকা নিতে নিষেধ করেছি। ইউপি সদস্য হেলাল মিয়ার মুঠোফোনে (০১৭৩১-৬২০১৩০) একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর লাইন কেটে তাৎক্ষনিক মোবাইলটি বন্ধ করে দেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মশিহুর রহমান বলেন, কুষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার উপকরন বিতরন কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। এ কার্ড বিক্রি বা এর বিনিময়ে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই। সম্পূর্ণ ফ্রি। কেউ এমনটি করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, এই কার্ডের জন্য একটি টাকাও নেওয়ার বিধান নেই। টাকা নেওয়ার প্রমাণ পেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares