Main Menu

আজাদ হত্যা মামলা -: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ আসামি কারাগারে

+100%-

প্রতিনিধি : ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইকবাল আজাদ খুনের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল আসাদসহ ৪ আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার সকালে তারা ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাইফুর রহমান সিদ্দিকের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডর আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে মো. এমদাদ মিয়া।

উল্লেখ্য, গত বছর ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দলীয় কোন্দলের জের ধরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকাস্থ সরাইল সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ.কে.এম. ইকবাল আজাদ। এই ঘটনায় নিহতের ছোটভাই ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম. জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে পরদিন সরাইল থানায় ২২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। জনপ্রিয় রাজনীতিক ইকবাল আজাদ খুনের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গোটা সরাইলবাসী। পুলিশ এজাহারনামীয় একজনসহ সন্ধিগ্ধ ছয়জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন ভূইয়া প্রায় দুই মাস তদন্ত শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর এজহারভুক্ত ২২ আসামিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই থেকে আসমীরা পলাতক ছিলেন। গত গত ৬ জানুয়ারি সোমবার মামলার এজাহারনামীয় আসামী সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি  মো. আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের আহবায়ক হাজী মাহফুজ আলীসহ মোট ২১ আসামী আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সাতদিনের মাথায় রোববার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল আসাদসহ ৪ আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে চাঞ্চল্যকর এই মামলার ২৬ জন আসামি জেল হাজতে রয়েছে।






Shares