Main Menu

বাঙালি’র চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বাংলার রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু করার ষড়যন্ত্র করেছিল–আল মামুন সরকার

+100%-

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা সঙ্গীতাঙ্গণে মহান একুশে ফেব্র“য়ারী ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নায়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ্ বাহার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ জামাল খান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ছাদেকুর রহমান শরীফ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেন, বাঙালি’র চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য তৎকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ বাংলার রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে বাংলার দামাল ছেলেরা এই ষড়ন্ত্রকে প্রতিহত করে বাংলাভাষার জন্য আন্দোলন করেছিলেন এবং সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মতন বীর ছাত্রনেতারা রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা আর্ন্তজাতিক ভাষা হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই ভাষা আন্দোলনের সূত্র থেকেই ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ৭১’র মহান স্বাধীনতার সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে। এখন আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি এবং বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। তাই আমাদের ভাষাকে সকল স্থানে সঠিক মর্যাদা দিতে হবে।






Shares