Main Menu

কসবায় আট মাসে ৫ কোটি টাকার মাদক ও গাড়ি উদ্ধার

+100%-

রুবেল আহমেদ : কসবায় থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে গত আট মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকার বিভিন্ন মাদক ও গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে শুরু হয় মাদক বিরোধী অভিযান। জেলা পুলিশের নির্দেশনায় চলছে এই অভিযান। সম্প্রতি জেলায় মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ট ওসির খেতাব পেয়েছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

কসবা থানা সুত্রে জানা যায়, গত আট মাসে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি মাদক পাচারে ব্যবহৃত প্রায় এক কোটি টাকা মুল্যমানের বিভিন্ন ধরনের পরিবহন আটক করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী এবং পাচারকারী আটক হয়েছে ২২২ জন। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪০ মন গাজা, ১৫ হাজার দুইশত ৭৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩২৫ বোতল বিদেশী মদ, ১৩৭ বোতল ফেন্সিডিল, বিয়ার ১৫৩ বোতল ও হুইস্কি ১৭ বোতল।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ঘেঁষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ১৯ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত বিজিবি ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মদ, ইয়াবা, গাজাসহ নানা ধরনের মাদক ও পণ্য ভারত থেকে নামানো হচ্ছে। সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত আট মাসে যা আটক হয়েছে তার বহুগুন বেশী ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কসবার তিনলাখপীর, কুটি বাজার, এখন চোরাচালানের নিরাপদ রুট। কুটি থেকে শিমরাইল, কালিগঞ্জ হয়ে নবীনগর, বাঞ্চারামপুর, আড়াইহাজার হয়ে ঢাকা শহরে ঢুকছে মাদক। আবার নৌপথেও দক্ষিনাঞ্চলে প্রবেশ করছে মাদক। তিনলাখপীর ট্রানজিট পয়েন্ট থেকৈ নবীনগর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার হচ্ছে। ট্রেন, বাসেও যাচ্ছে মাদক । আবার ধরাও পড়ছে।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই থানায় যোগদানের পর থেকে যে পরিমান মাদক উদ্ধার করেছি তা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশী। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই উপজেলায় সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসে এসব মাদক। উদ্ধারের পাশাপাশি মাদকের পাচার ও ব্যবহার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মুন্সি রুহুল আমিন টিটু বলেন, ভয়াবহ মাদক পাচারের ফলে কসবার প্রতিটি গ্রামে মাদক ব্যবসা বিস্তার লাভ করেছে। এতে বিভিন্ন দলের নীতিবিবর্জিত কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী জড়িত।






Shares