Main Menu

১৩ গুলি শরীরে নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন সাংবাদিক মাসুদ

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১৩টি গুলি শরীরে নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াটুয়েন্টিফোরডটকম, বিজয়টিভির সরাইল প্রতিনিধি সাংবাদিক মাসুদ। এর আগে গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের এ্যাকশনে সে গুলিবিদ্ধ হয়। ইতিমধ্যে তার শরীর থেকে অপারেশন করে দুটি গুলি বের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ফয়সাল (২২) নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিল। সংঘর্ষের সময় আতংকিত হয়ে দোকান বন্ধ করার সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে ফয়সালকে গুলি করে। এতে সে নিহত হয়। দাবি নিহতের পরিবারের।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ককটেলের স্প্রিন্টারবিদ্ধ হয়ে ফয়সাল নিহত ও সাংবাদিক মাসুদসহ অন্যান্যরা আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক মাসুদের চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাইদ নিশ্চিত করেছেন মাসুদের শরীরে থাকা বস্তুগুলো গুলি।

সাংবাদিক মাসুদ জানান, গত ১৪ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় কালিকচ্ছ বাজারে দু গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ যখন শেষের দিকে তখন পুলিশ এসে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে সংবাদ সংগ্রহের কাজে সেখানে থাকায় তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তবে পুলিশের দাবির সাথে একমত নন তিনি। তার দাবি, সেদিন সেখানে কোন ককটেলের বিস্ফারণের শব্দ তিনি পাননি।

চিকিৎসার অবস্থার সম্পর্কে মাসুদ জানান, ঘটনার পরপর তিনি জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সহায়তায় ঘাটুরায় অবস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় অপারেশন করে তার শরীর থেকে দুটি গুলি বের করা হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন অফিসার তার খোঁজ খবর নিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাইদ জানান, মাসুদের শরীর থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। আহত অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অস্ত্রপ্রচার না করতে পারায় তার শরীর থেকে বাকি গুলি বের করা যাচ্ছে না। ১৫ দিন পর বাকি গুলি বের করা হবে। গুলিগুলো পাখি মারার (ছড়াগুলি) বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোছাইন বলেন, আহত সাংবাদিকের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। তবে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি দাবি করে তিনি বলেন, ককটেলের স্প্রিন্টারবিদ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।






Shares