Main Menu

মানবতাবিরোধী অপরাধ:: নবীনগরে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

+100%-
fulmiahডেস্ক ২৪:: মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নবীনগরের বগডহর গ্রামের বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফুল মিয়ার (৭৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. আউয়াল মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
তার বিরুদ্ধে হত্যা-ধর্ষণসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক সুলতান সোহাগ মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অভিযুক্ত মো. ফুল মিয়া পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। দেশ স্বাধীনের আগ পর্যন্ত অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন ফুল মিয়া। এবং রাজাকার কমান্ডার হিসেবে তার নেতৃত্বে তিতাস নদী ও বুড়ী নদীতে ডাকাতি সংঘটিত হয়।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৬ই মে রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দিনকে ভারতে যাওয়ার সময় বুড়ী নদীর কনিকারা মোড়ে পথরোধ করেন। এ সময় তার ছেলে-মেয়েকে আটক রেখে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে দেন ‘রাজাকার কমান্ডার’ মো. ফুল মিয়া।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর ফুল মিয়া হানাদার বাহিনীকে নিয়ে জেলার শ্রীরামপুর গ্রামে ১৩ হিন্দু-মুসলমানকে হত্যা এবং শতাধিক ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। পরদিন নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ বাজার লুট ও অগ্নিসংযোগ করেন।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোকাদ্দুছ মিয়াকে ধরে এনে নবীনগর গার্লস হাইস্কুলের সামনে পাক হানাদার বাহিনীর সহায়তায় বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন ‘রাজাকার কমান্ডার’ ফুল মিয়া।

চতুর্থ অভিযোগ হলো- নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর গ্রামে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বগডহর গ্রামে ধরে এনে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল করিমসহ কয়েকজনের নির্দেশে ফুল মিয়া খুন করে লাশ বুড়ী নদীতে ফেলে দেন।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার মামলার বাদী ও আসামির রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।






Shares