Main Menu

সরাইলে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক, ভাংচুর লুটপাট, সম্ভ্রমহানির আশংকায় এলাকা ছেড়েছেন যুবতীরা

+100%-

sarail pic 26 1 (1)

মোহাম্মদ মাসুদ :: সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর ২ দিনের সংঘর্ষে পুলিশ সহ উভয় পক্ষের অন্তত: অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ আহত হয়েছে। গত শনিবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৈশান বাড়ি ও লাখি হাজারির বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ধর্মতীর্থ এলাকার আজম ব্রিকসে ট্রাক্টরে ইট উঠানোকে কেন্দ্র করে মৈশান বাড়ির এফরান আলী মৈশানের ছেলে আল-আমীন (২৫) ও লাখি হাজারির বাড়ির মজনু মিয়ার ছেলে জামিরের (২০) মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ওইদিন রাতে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সরাইল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দেড় ঘন্টা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে আহত হয় ২০ জন।sarail pic 26 1 (3)

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বৈঠক করে উভয় পক্ষ আবার রণ প্রস্তুতি নিতে থাকে। আজ সকাল ৮টায় দু’গোষ্ঠীর সহস্রাধিক জনতা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দেড় ঘন্টা চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি চারিদিকে ছড়িয়ে গৃহ যুদ্ধে রুপ নেয়। ফলে বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট
হয়েছে।

sarail pic 26 1 (2)সম্ভ্রমহানির আশংকায় বাড়ির বউ ও উঠতি বয়সের মেয়েদের দ্রুত আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে সরিয়ে নেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা ১১ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৩ রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে পুলিশ নারী পুরুষ ও শিশু সহ উভয় পক্ষের ৩০ জন লোক আহত হয়। গুরুতর আহত হন ওয়ালি মিয়া (৫৫)। এ ছাড়া সরাইল থানার এস আই আবদুল আলীম ও কন্সটেবল শাহ জালাল আহত হয়েছেন। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
sarail pic 26 1 (4)

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ আবদুল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।






Shares