Main Menu

সরাইলের বাচ্চু মিয়া সাজলেন ভূয়া ইউপি সদস্য, স্বাক্ষর করলেন দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতিপত্রে

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল। সরাইলে বাচ্চু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তি সেজেছেন ভূয়া ইউপি সদস্য। সীলমোহর যুক্ত স্বাক্ষর করেছেন ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নূর আলীর দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতিপত্রে। জালিয়াতি ও প্রতারণায় ধরা পড়ে গেছে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়ইচড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় বাচ্চুর বিরূদ্ধে সরাইল থানায় একটি লিখিত এজহার জমা দিয়েছেন বর্তমান ইউপি সদস্য এনামুল হক। জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগেই বাচ্চুর ভয়ঙ্কর প্রতারণায় সমালোচনার ঝড় বইছে গ্রামে। বাচ্চুর বিরূদ্ধে ওঠেছে জুয়া ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ।

এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বড়ইচড়া গ্রামের রহমত আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক নুরূল আলম (৪৮) ওরফে নুর আলী গ্রামে পরনারী লোভী ও লম্পট হিসাবেই চিহিৃত। জোর পূর্বক ধর্ষণ করা ও ধর্ষণের চেষ্টা করা তার নেশা। পেশিশক্তি বৃদ্ধির আশায় নূর আলীর অপকর্ম ঢাকতে বারবার ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছেন তার কতিপয় স্বজন ও স্থানীয় কিছু সালিসকারক। অতিসম্প্রতি গ্রামের এক অসহায় মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্ভ্রম লুটেছে নূর আলী। মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তসত্তা হয়ে গেলে সটকে পড়ে নূর আলী। আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে চাইলে গ্রাম্য সালিসে বিয়ের সিদ্ধান্ত দিয়ে আটকে দেয় সবকিছু। আর বিয়ে করতে নুর আলীর প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমতি দরকার হয়। সেই অনুমতি পত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর লাগে। ইউপি সদস্য এনামুল হক সেই পত্রে স্বাক্ষর করেননি। তখনই প্রতারণার সুযোগ নেন একই গ্রামের বাচ্চু মিয়া। কারণ তিনি আগামী ইউপি নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করার জন্য মাঠ ঘুছানোর কাজ করছেন। তিনি সেজে গেছেন ইউপি সদস্য। এনামুল হকের সীল ব্যবহার করে নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন ওই অনুমতিপত্রে। সেখানে স্বাক্ষী রয়েছেন মো. আবদুল হালিম, মো. আনোয়ার হোসেন, নিজাম উদ্দিন ও মো. ফারূক আহাম্মদ নামের চার ব্যক্তি। আর এ কাগজ দিয়েই নূর আলী দ্বিতীয় বিয়ের নিকাহ নিবন্ধন করে।

তবে অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়নি। আল্লাহকে হাজির রেখে বলছি আমি মেম্বার হয়ে স্বাক্ষর করিনি। আমি নূর আলীর বিয়ের উকিল। কাজীর একটি কাগজে ও স্বাক্ষী হয়ে প্রথমে স্বাক্ষর করেছি। মামলার বাদী ও ইউপি সদস্য এনামুল হক বলেন, নূর আলীর দ্বিতীয় বিয়ে ভৈরবের কাজী নিবন্ধন করেছেন। এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে বাচ্চু আমার জায়গায় স্বাক্ষর করেছে কেন? সে কেন ইউপি সদস্য সেজেছে? এখানে গভীর কোন ষড়যন্ত্র আছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের গণ্যমান্য বর্গকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমি তার এহেন প্রতারণা ও জালিয়াতির আইনি বিচার চাই।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। একজন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর অন্য কেউ করতে পারে না। একটি কাগজে বাচ্চুর স্বাক্ষর আছে। আরেকটিতে নেই। আমি ওই গ্রামের সকল সাহেব সর্দারের সাথে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমাকে জানাবেন। পাকশিমুল বিটের দায়িত্বে থাকা এস আই হোসনে মোবারক থানায় একটি এজহার জমার কথা স্বীকার করে বলেন, এখনো নথিভূক্ত হয়নি। বড়ইচড়া গ্রামের সর্দার আজগর মাষ্টারসহ কয়েকজন সামাজিক ভাবে বিষয়টি দেখার জন্য সময় চেয়েছেন। তারা নিস্পত্তির চেষ্টা করছেন।






Shares