Main Menu

ভোট ডাকাতি, প্রহসন ও সীল মারার মহোৎসবের জন্য ২০ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরবাসীর কাছে কালোদিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। -মো: জহিরুল হক খোকন জহির

+100%-

bnppressব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক খোকন জহরি গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রহসন, ভোট ডাকাতি নির্বাচন ও সীল মারার মহোৎসবের মাধ্যমে চর দখলের মতই বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির নিশ্চিত বিজয়কে বাকশালী কায়দায় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পৌরবাসীর নিকট দিনটি কালোদিবস হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
পৌর নির্বাচনে ৪৮টি কেন্দ্রেই আমাদের নির্বাচনীয় এজেন্ট ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচন শুরু হয় সকাল ৮টায়, ভোট শুরু হওয়ার পরপরই বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কন্ট্রোলরুমে, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও দায়িত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের কাছে দলীয় এজেন্টদের কাছ থেকে অবিরত অভিযোগ আসতে থাকে। কোথাও এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কোথাও এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে, কোথাও সশস্ত্র সন্ত্রাস, ককটেল বোমাবাঁজি করে এজেন্টদের মারধর করে বের করে গণহারে ব্যলটে সীল মারা হচ্ছে। এমনকি কয়েকটি কেন্দ্রে মহিলা এজেন্টদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। কয়েকজন মহিলাকে হাটু পানিতে দাড় করে হুমকি দেওয়া হয় যেন আর কেন্দ্রমুখী না হয়। কোথাও কোথাও রক্ষীবাহিনীর লাল ঘোড়া দাবরানো আওয়ামী আতঙ্কের অতিত ইতিহাসের মত এবারও প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে কপালে ও হাতে লাল ফিতা বাঁধা আতঙ্ক সৃষ্টিকারী বাহিনীর সদস্যরা কিভাবে এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোটারদের ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে গণহারে সীল মেরেছে গোটা পৌরবাসী তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছে।
সকল অনিয়ম ও অভিযোগ কেন্দ্র সমূহে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানালে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না কের বরং উল্টা অভিযোগকারীকেই গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রিরাইডিং অফিসারদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করতে বললে ব্যবস্থা গ্রহণ দূরের কথা অভিযোগও গ্রহণ করতে অপরাগত প্রকাশ করে। অর্থাৎ স্থানীয় শাসকদলের সন্ত্রাসী কায়দায় একতরফা ভোট ডাকাতির গোটা বাস্তবায়ন প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও, প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত ও নির্বিকার।
নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় শাসকদল নির্বাচনী আচরণ বিধি চরমভাবে লঙ্ঘন করে জনসভা, মিছিল, হুমকি-ধামকি, ১২টি ওয়ার্ডের নিবেদিত ও দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের বিনা কারণে নির্বিচারে গণগ্রেফতার, ঘরে ঘরে পুলিশি তল্লাশির নামে ভয়ভীতি আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘর ছাড়া করা, আওয়ামীলীগ এজেন্টদের সামনে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর ভোট প্রকাশ্য দিতে বাধ্য করার ঘোষনা, পুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বারবার প্রধান নির্বাচন কমিশন, সচিব, জেলা প্রশাসক, রিটানিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে বারবার যে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছিল যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, সকল আশঙ্কাকে সত্য প্রমানিত করেই পৌর নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। চরম নৈরাজ্যকর অবস্থায় যখন প্রশাসন কোনই সাড়া দিচ্ছিল না তখনই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন। অথচ হাস্যকরভাবে যে পাতানো ফলাফল দেখানো হল সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নিশ্চিতভাবে তা উল্টা হবার কথা ছিল।
নির্বাচন বর্জন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে অনেক বিজ্ঞ সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রশ্ন করেছিলেন প্রশাসন নাকি বিএনপি মনোনিত প্রার্থীর কাছ থেকে কোন অভিযোগ পায়নি। এর জবাবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি বলব প্রতিটি অভিযোগে সীল স্বাক্ষর সহ রিসিভিং কপি আমাদের নিকট আছে, যে কেউ চাইলেই আমরা দেখাতে বা দিতে পারব।
জেলা আওয়ামীলীগ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেডদেরকে নাকি গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমি উক্ত বক্তব্যের জবাবে বলতে চাই নির্বাচন উপলক্ষে গ্রেফতারকৃতদের গত ১১ ও ১২ই জানুয়ারী মাদ্রাসা ছাত্র, পুলিশ ও আওয়ামীলীগের সংঘঠিত ত্রিমূখী সংঘর্ষের মামলায় আসামী দেখানো হয়েছে। তাদের সকলেই সমাজে সম্মানিত ও সজ্জন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত। আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি গ্রেফতারকৃতরা একজনও মোস্ট ওয়ান্টেডত নয়ই, এমনকি সংঘটিত ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখলে গ্রেফতারকৃতদের একজনকেও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমান করতে পারবে না।

সবশেষে আমি পৌর নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলকে বাতিল করে পুনরায় অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।প্রেস রিলিজ






Shares