Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির রাস্তায় সাংবাদিক সম্মেলন:: নেতাকর্মীদের হয়রানি না করা এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি

+100%-

DSC_0165ডেস্ক ২৪:: নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে সোমবার ডাকা সংবাদ সম্মেলনের স্থান পরিবর্তন করা হয় বলে দাবি করেন জেল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।

গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর পুলিশ যে মামলা করেছে, তাতে আসামি করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপির ৪৪ জন নেতা-কর্মীকে। দেখা গেছে, ওই নেতা-কর্মীরা আড়াই মাস কারাভোগের পর ঘটনার দিনই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।DSC_0160

সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত আজ (সোমবার) সকালে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয় জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির বাড়িতে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। এই সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দলটির নেতাকর্মীরা ওই বাড়ির সামনে জড়ো হচ্ছিল। এজন্য সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবারের তাণ্ডবের পর থেকে জেলা শহরে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জহিরুল হক খোকন বলেন, সকালে তাদের পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনস্থল ছিল জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির শহরের মোড়াইলের বাসভবনে।কিন্তু বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের উপস্থিতির কারণে তারা সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেননি বলে জানান।

এরপর দুপুর ১২টার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাদের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য উপস্থাপন করেন জহিরুল হক খোকন।

লিখিত বক্তব্যে খোকন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।তিনি ওই ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি না করা এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মঈনুর রহমান জানান, বিএনপিকে সংবাদ সম্মেলন করতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

বিএনপির প্রেস রিলিজের সম্পূণ বক্তব্য::

১৮/০১/২০১৬ইং
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল জিন্দাবাদ
শহীদ জিয়া অমর হোক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ
তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান জিন্দাবাদ

সম্মানিত সাংবাদিক বৃন্দ,
আস্সালামু আলাইকুম।

আপনারা জাতির বিবেক, জাতীর কন্ঠ, সমাজের দর্পন এবং মুক্ত চিন্তার অগ্রণী সৈনিক। যখনই কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে আপনাদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ব বিবেক ও জাতীয় জন মতের কাছে এর প্রতিবাদ করতে পিছ পা হননি।

শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকবৃন্দ,
আপনারা জানেন গত ২৬শে অক্টোবর ২০১৫ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে, তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ১৭ দিন পর সমস্ত মামলা হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রদান করেন। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে পরপর ৪ বার জামিন পেলেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শোন অ্যারেষ্ট দেখিয়ে কারামুক্তিতে বাঁধা দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১১ জানুয়ারী ২০১৬ইং ৫ম বারের মত হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে ৭৭দিন পর আমরা মুক্ত হই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এত সংখ্যায় নেতাকর্মী একসাথে আটক ও বার বার জামিনের পর আবার শোন অ্যারেষ্ট দেখিয়ে হয়রানি করা বিগত দিনের ইতিহাসে নেই।

সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন, কারাবরণের রেশ কাটতে না কাটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সৃষ্ট ঘটনা যা সকলেই অবগত আছেন। তবুও বলছি, নাসিরনগর থানাধীন ধনকুড়া গ্রামের হযরত শাহজালাল (রাঃ) মসজিদ ও মাদ্রাসা, জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার অধিনস্ত একটি কওমী মাদ্রাসা। মসজিদের পাশেই মাদ্রাসার নির্মান কাজ চলাকালীন স্থানীয় সাংসদ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো: সাইদুল হকের নির্দেশে মাদ্রাসার কাজ বন্ধ এবং মসজিদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

মাদ্রাসা বন্ধের প্রতিবাদে গত ১১/০১/১৬ইং সকাল আনুমানিক ১১.৩০ মিনিট কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ হয়। মিছিলে মন্ত্রী ও সরকারী দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। ঐদিন বিকালে মিছিলের নেতৃত্ব দানকারী কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী মাওঃ খালেদ মোশারফ কাউতলী যাওয়ার পথে নবনির্মিত ফ্লাইওভারের কাজ চলার কারণে অটোবাইক থেকে নেমে যায়। তখন জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মো: সেলিম মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রণি এবং উক্ত মার্কেটের সভাপতি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল খানের সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে মাওলানা খালেদ মোশারফকে নাজেহাল করা হয়। নাজেহালের খবর মাদ্রাসায় পৌছা মাত্র মাদ্রাসার ছাত্ররা দলবদ্ধভাবে বিজয় টেলিকমে হামলা করে। এখবর সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদে সারা শহর থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লগি বৈঠা অস্ত্র স্বজ্জিত হয়ে মিছিল সহকারে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে শত বর্ষের ঐতিহ্যবাহী মুসলমানদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইউনুসিয়া মসজিদ ও মাদ্রাসায় এশার নামাজ চলাকালীন সময় নজীরবিহীন হামলা ভাংচুর চালায় এবং ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।

হাফেজ মাসুুদুর রহমান সহ অসংখ্য ছাত্র শিক্ষক আহত হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য মতে এই হামলায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাথে নেতৃত্ত্ব দেন তৎকালীন ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ও এ.এস.পি সার্কেল সদর তাপস রঞ্জন ঘোষ। ঐ সময় তাৎক্ষনিক শহরের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার মাইক থেকে তৌহিদি জনতাকে মাদ্রাসা রক্ষার জন্য মাইকিং করে আহ্বান জানানো হয়।

১২/০১/১৬ইং ভোর রাতে মসজিদ মাদ্রাসা ভাংচুর ও গুরুত্বর আহত হাফেজ মাসুদুর রহমানের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সারা শহরের এবং আশে পাশের শহরাঞ্চল থেকে মাদ্রাসার ছাত্র এবং তৌহিদি জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সকালে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সারা শহর প্রদক্ষিন করে। পুলিশ এতে বাঁধা দিলে নজীরবিহীন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে এতে জনমনে চরম আতঙ্ক ও অস্বস্তি নেমে আসে। ১২ তারিখে যে সকল অনাকাঙ্খিত জ্বালাও পোড়াও জাতীয় সম্পদ ভা্চংুর ও তান্ডব ঘটেছে তা কারোই কাম্য নয়। ১১ ও ১২ তারিখে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জেলাবাসীসহ সারা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ফলাও করে এসব ঘটনা ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দেখানো ও প্রকাশিত হয়। যেখানে কোন বিএনপির নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতার কোন তথ্য প্রমান নেই। সেখানে ছাত্রলীগ মাদ্রাসার ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের কথাই লেখা হয়েছে এবং বিজ্ঞ সাংবাদিক ভাইদের কাছেও আপনাদের প্রচারিত ও প্রদর্শিত তথ্য প্রমান স্টিল ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মসজিদ মাদ্রাসা ভাংচুর ও মাদ্রাসার ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ১২/০১/১৬ইং মিছিল সমাবেশ থেকে ১৩/০১/১৬ইং সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষনা করে। চরম অশান্ত উত্তাল পরিস্থিতিকে শান্ত করার লক্ষ্যে বাদ মাগরীব চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মাহবুবুর রহমানের মধ্যস্থতায় জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসায় শর্ত স্বাপেক্ষে সমঝোতা হয়। হরতাল প্রত্যাহার এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না।

এখানে উল্লেখ্য যে, ১১/০১/১৬ইং রাতে এশার নামায চলাকালীন সময় তৎকালীন ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ও এ.এস.পি সার্কেল সদর তাপস রঞ্জনের সঙ্গীয় ফোর্স মাদ্রাসায় হামলার সময় ব্যাপক গুলি বর্ষণ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এই গুলি ও টিয়ারসেল জায়েজ করার জন্য বিএনপির সাজানো ও ভূয়া মিছিল দেখিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী কেউই বলতে পারবে না বিএনপি ঐ সময় কোন মিছিল করেছে।

এহেন পরিস্থিতিতে ১৩ তারিখ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরো ঘটনার দায় বিএনপির উপর চাপানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। যা দেখে দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক হয়েছে। যাহা তাদের নির্লজ্জ্ব নীচ মানষিকতার বর্হিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে প্রমানিত হয় এই ঘৃন্য তৎপরতার মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্য মূলকভাবে বিএনপিকে জড়ানো হচ্ছে। পূর্বের ন্যায় বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে এবং আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচনের মাঠ থেকে বিএনপিকে দূরে রাখার জন্যই এই অপকৌশল।

এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ৭৭দিন পর সদ্য কারামুক্ত হয়ে আসা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং এখনও কারান্তরীন মো: মাহমুদুর রহমান মাহিনকে আসামী করে মামলা করা হয়। এমনকি ঘৃন্য ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আসামী না করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে বিএনপি তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে ঢালাও ভাবে আসামী করে উদোর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই ষ্টিল ছবি বা ভিডিও ফুটেজ কোথাও কোন বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখাতে পারবে না এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী বলতে পারবে না বিএনপির কোন নেতাকর্মী এঘটনার সাথে জড়িত এবং ঐ সময় বিএনপি কোন মিছিল করেছে।

আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, মাদ্রাসা ছাত্রদের সাথে স্থানীয় শাষকদলের সৃষ্ট বিরোধের সাথে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং ছিল না। এমনকি কোন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এর সত্যতা পাওয়া যায়নি যাহা প্রকাশ্য দিবালোকের মত সত্য। আমরা মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার বিচার ও সকল প্রকার ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সবশেষে স্বরণ করে দিতে চাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিগত দিনের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারষ্পরিক সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধা বোধের বন্ধনকে চিরতরে ধ্বংস করে দিচ্ছে বর্তমান শাসক দলের নেতৃত্ব। শুধু বলব এ নেতৃত্ব অসহিষ্ণু অবিবেচনা প্রসূত হীন মানষিকতা সম্পন্ন নেতৃত্ব।
সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা। যাহারা মুসল্লিদের নামাজরত অবস্থায় আক্রমণ করে মসজিদ মাদ্রাসা ভাংচুর হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এবং হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে জেলা শহরের রেলষ্টেশন, হাসপাতাল ও সূর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনসহ যে সকল প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষতি সাধন করা হয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জনগনের সম্পদ এইসব প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরে যারা দায়ী বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে ১১, ১২ ও ১৩ তারিখের ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ধারণকৃত ফুটেজ ও লেখনি থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে অপরাধী মুখোশধারীদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। বিচার বিভাগীয় তদন্তের আগে যেন কাউকে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি মূলক মামলায় আসামী করা না হয়। প্রকৃত অপরাধী যে কেউ হোক তার রাজনৈতিক পরিচয় যাই হউক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হউক।

আমরা সকল প্রকার হয়রানি বন্ধসহ সমস্ত মিথ্যা, বানোয়াট, ফরমায়েশী, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় আমাদেরকে দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আপনাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি জীবনের ঝুকি নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনাদের নিকট সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত ষ্টিল ছবি ও ফুটেজ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সাহসিকতার সাথে সরবরাহ করে বিচারকে সঠিক ও সুনিশ্চিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।

আল্লাহ আমাদের সহায় হউক।






Shares