Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান

এই দিনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য স্মরণীয় ঐতিহাসিক দিন

+100%-

৮ ডিসেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের সম্মুখযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ এই দিনে বিনা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। ৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ফলে ৮ ডিসেম্বর বিনা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে। ঐ দিন সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তি যুদ্ধের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল কাউন্সিলরের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী। দিবসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ব্যাপক আয়োজনে পালন করা হয়েছে।
সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। পরে জাতীয় পতাকাকে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিক সালাম প্রদান, জাতির পিতার প্রতীকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন, মুক্তিযুদ্ধের প্রয়াত সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ প্রজন্মের শিশুদের নিয়ে ৪৬টি জাতীয় পতাকা একসঙ্গে উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম বার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির প্রমুখ।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, জেলা জাসদ সভাপতি এডঃ আখতার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ্।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের সম্মুখযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ এই দিনে বিনা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। এইদিনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য স্মরণীয় ঐতিহাসিক দিন। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে এই দিবসটিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তাদেরকে জানাতে হবে। তিনি এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।






Shares