Main Menu

অভিজ্ঞতা না থাকায় ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেননি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ আইনজীবী

+100%-

অভিজ্ঞতা না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ আইনজীবী ভার্চুয়াল জামিন শুনানিতে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বর্তমান করোনা প্রভাবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশক্রমে শুধুমাত্র জামিন সংক্রান্ত শুনানির বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার( ১০ মে) সুপ্রিম কোটের রেজিস্টার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

কিন্তু নতুন তথ্য প্রযুক্তির সাথে পূর্বে অভিজ্ঞতা না থাকায় কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ আইনজীবী আজ সোমবার ভার্চুয়াল জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।

পরে ভার্চুয়াল জামিন শুনানি নিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে আইনজীবীরা তাদের আপত্তির কথা জানায়। পরে আজ সোমবার বিকেলে আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ অন্তত শতাধিক আইনজীবী অনির্ধারিত বৈঠক করেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মামুনের সঞ্চালনায় সভায় অনেকেই বক্তব্য রাখেন। পরে সভা শেষে বৈঠকে অংশ নেয়া আইনজীবী আব্দুর রহিম গোলাপ এবং এড: নিজামউদ্দিন খান বলেন,’সরকারের সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী এবং ভাল। কিন্তু নতুন বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির সাথে অনেকেই অভ্যস্ত না।

পাশাপাশি অনেকের স্মার্টফোন না থাকা, ইন্টারনেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনার অভাব সহ জামিন শুনানির কপি স্ক্যান করাসহ নানা বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টির আশংকায় আপাতত সাধারণ আইনজীবীরা ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিবেন না বলে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন।

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড:কামরুজ্জামান মামুন জানান, প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশক্রমে আদালত থেকে আমাদেরকে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে।

এর পর সোমবার( ১১ মে) সকালে কয়েকজন আইনজীবী বিচারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ নেন এবং সমিতির পক্ষ থেকে দুটি মামলা দাখিল করা হয়। কিন্তু ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য আমাদের আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি ও বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের আইনজীবীরা এটাকে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তারা এই পদ্ধতি বুঝতে চায় না এবং তাদের কাছে জটিল মনে হয়।

নেট সমস্যা সহ অনেক কারণেই আইনজীবীরা এ পদ্ধতিতে যাবেনা না। সেজন্য যদি সপ্তাহে দুইদিন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে সরাসরি ভাবে কোর্ট পরিচালনা করা হয় তাহলে দেশের মানুষের উপকার হবে।

প্রতিবেদনটি পূর্বে সময় টিভিতে প্র্রকাশিত






Shares