Main Menu

নবীনগরের গৌরনগরে আবার সহিংসতা,আগুনে পুড়ানো হলো ৩ টি ঘর

+100%-

 


বিশেষ প্রতিবেদক,নবীনগর থেকে ফিরে : নবীনগরের গৌরনগরে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৩ টি ঘর। বুধবার রাত ১০ টার দিকে পেট্রোল ঢেলে গ্রামের সরকার বাড়ির মলাই মিয়া ও তার দু-ভাইয়ের ৩ টি ঘর সম্পুর্ন  পুড়িয়ে দেয়া হয়। একটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা আপোষে রাজি না হওয়ায় নানা ভাবে নির্যাতনের পর আগুনে ঘর পুড়ানো হলো বলে অভিযোগ করছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

জানা গেছে,২০১১ সালের ১০ ই ডিসেম্বর খুন হয় সরকার বাড়ির  রবিউল । এর আগে শাহআলম নামে এক যুবককে মারধোর করে গুরুতর আহত করা হয়। এদুটি ঘটনাসহ একের পর এক সংগঠিত ঘটনায় গ্রামের আজুরাইবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মোট ১২ টি মামলা করা হয়। এসব মামলার আসামীদের অত্যাচারে এখন গ্রামছাড়া মামলার বাদীপক্ষ সরকার বাড়ির কয়েক’শ নারী পুরুষ। তাদের শুন্য ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট,বেড়াচালা খুলে নেয়া,জমির ফসল কেটে নেয়া,নলকূপ উঠিয়ে নেয়া সহ নানা অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে মাসের পর মাস ধরে। গত দু-দিন আগে আরশ মিয়া নামের এক গ্রামবাসীর দুটি ঘর ভেঙ্গে ফেলে দেয়া হয়। জবাই করে খেয়ে ফেলে তার দুটি খাসি। এরপর বুধবার রাতে মলাই মিয়া ও তার দু-ভাইয়ের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় বাড়িতে মলাই মিয়ার বৃদ্ধ মা ও এক ভাইয়ের স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিলনা।

মলাই মিয়া জানান,পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যে ৩ টি ঘর সম্পূর্ন পুড়ে যায়। তার অভিযোগ আজুইরাবাড়ির ১০/১২ জন এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এঘটনার আগে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করা হয়। মলাই মিয়া অভিযোগ করেন এখন হুমকী দেয়া হচ্ছে তার আরো দুটি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হবে বলে। আর তাকে হত্যা করার হুমকী দেয়া হচ্ছে সবসময়। রাতেই থানা পুলিশকে অবহিত করার পর সকালে পুলিশ এলাকায় আসে। সরকারবাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন হত্যাসহ তাদের দেয়া ১২ টি মামলায় আসামী কয়েক’শ। এরমধ্যে হত্যা মামলার ২২ জন সহ এক-দেড়শ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ একটি আসামীও ধরেনি। আসামীরা দম্ভ করেই বলে বেড়ায়‘নবীনগর থানার পুলিশ, আমাদের ধরবেনা’। পুলিশও তার প্রমান দিয়েছে। বার বার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও পুলিশ বরাবরের মতো নির্বিকার। বুধবার রাতে ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার খবর পাওয়ার পর এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন নবীনগর থানার ওসি আবু জাফরকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ গেছে পরদিন। সংসদ সদস্য এই গ্রামটির শান্তি-শৃঙ্খলা রায় পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এখানে বড় ধরনের ঘটনা ঘটানোর অপেক্ষা করছে হয়তো পুলিশ।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর আগুনে একটি বাড়ির ৩ টি ঘর পুড়ানোর কথা স্বীকার করেন। এরপর সেখানে  পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, হরতালের কারনে এতোদিন ঐ এলাকার মামলার আসামী ধরা যায়নি। আমরা আজ থেকে আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালাবো।






Shares