Main Menu

নাসিরনগরে ইরি বোরোর বাম্পার ফলন-মূল্য কম,কৃষকরা হতাশ!

+100%-


প্রতিনিধি: কৃষি প্রধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অঞ্চল নাসিরনগর। নাসিরনগররের শতকরা ৯০ জন লোক কৃষির উপর নির্ভশীল। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে চলতি ইরি বোরো মৌসমে অত্র উপজেলায় স্থানীয়, উপষী ও হাই ব্রিড তিন জাতের ১৬ হাজার ৩৫০ তিনশত পঞ্চাশ হেকটর জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। যাকে বাম্পার ফলন বলা হয়। বুধবার বেলা সাড়ে তিন ঘটিকায় উপজেলা কৃষি সম্প্রশারণ অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায় কৃষি কর্মকর্তা সহ সব কয়টি রুম বন্ধ। পাশের রুমে একজনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কৃষি অফিসার দুপুরের খাবার খেতে বাসায় গেছেন। অফিস সহকারী খোর্শেদ আলম কোথায় জানতে চাইলে বলেন তিনিও খাবারের জন্য বাসায় গেছেন। তবে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ, তিনি সময় মত এবং নিয়মিত অফিসে আসতে পারেননি। তাছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ একই অফিসে চাকুরী করছেন। অফিসের পশ্চিম দিকে তার বাড়িও তৈরী করেছেন। তখন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ঘন্টা খানেক পরে অফিসে আসবেন। কিছুণ পর অফিস সহকারী খোর্শেদ আলমকে ছাতা নিয়ে বাজারে যেতে দেখা যায়। বেলা সাড়ে চার ঘটিকায় কৃষি কর্মকর্তার অফিস কে গিয়ে এলাকার ইরি বোরো ফসলের খোজ খবর জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড: আব্দুল মাজেদ জানান এবছর ইরি বোরো ফসলের ফলন ভাল হয়েছে। যাকে বাম্পার ফলন বলা হয়। কি কারণে ফলন ভাল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান কৃষরা এখন অনেক সচেতন। আগে তারা শুধু ইউরিয়া সার ব্যবহার করত। বর্তমানে সুষম সার ব্যবহার করা শিখেছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি অনুষরণ ও সমন্মিত বালাই ব্যবস্থাপনা অনুষরণ করছে। যার ফলে ফসলে রোগ ও পোকার আক্রমন কম হয়। তাছাড়া আবহাওয়া ফসলের অনুকুলে ছিল। নাসিরনগরের জনসংখ্যার তুলনায় উৎপাদন কতটুকু জানতে চাইলে, তিনি জানান গত বছর উপজেলার মোট জন সংখ্যার তুলনা ৩১ হাজার মে:টন ধান উৎদ্বৃত্ব ছিল। এবছর আশা করি আরও অনকে বেশী উৎদ্বৃত্ব থাকবে। ঝড় তুফান বা বৃষ্টি বাদলে ফসল নষ্ট হয়েছে কি না জনতে চাইলে, তিনি বলেন বৈরি আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা বৃষ্টির কারণে ফসলের কোন তি হয়নি। এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করলে তারা জানান গত বছরের তুলনা ফসল তেমন ভাল হয়নি। উৎপাদনের তুলনায় খরচ অনেক বেশী কিন্তু ধানের বাজার মূল্য অনেক কম থাকায়, কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য কত জানতে চাইলে, তারা জানান প্রতি মন ধান চারশত পঞ্চাশ টাকা হইতে পাঁচশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের মতে জমিতে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে সমস্ত খরচ হিসাব করে তারা এখন হিসাব মিলাতে পারছে না।






Shares