Main Menu

সরকারী আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নাসিরনগর পোষ্ট অফিসে প্রকাশ্যে ধুমপান …

+100%-

smokeনাসিরনগর সংবাদদাতাঃ জেলার নাসিরনগরের পোষ্ট অফিসের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান ও অসহযোগীতামূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, নিজ চেয়ারে বসে সিগারেট পান করছে । এ সময় ধূমপানের ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করা হয়। দীর্ঘ সময় ধুমপানে মগ্ন থেকে উক্ত কর্মচারীর আলাপচারীতার কারনে ঔ অফিসে অবস্থানরত লোকজনদের মধ্যে বিভিন্ন সমালোচনা ক্ষোভ ও নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

এ ঘটনা দেখে আগন্তুক লোকজন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন কর্মচারী যদি আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ধুমপান করেন, তাহলে সাধারন লোকজন কি করে ধুমপান বিরোধী আইনকে মান্য করবে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে কিছু সংখ্যক সরকারী, আধাসরকারী অফিসের ভিতর ‘ধূমপান মুক্ত অফিস’ লেখা থাকলেও আইন অনুসারে নাসিরনগরের অধিকাংশ পাবলিক প্লেসে ‘ধূমপান হইতে বিরত থাকুন; ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ সম্বলিত সাইন বোর্ড লেখা নেই।

তামাকের ভয়াবহতা স্বীকার করেই ২০০৩ সালে প্রনীত তামাক বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তি- ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)তে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ এবং পরবর্তীতে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩ পাস হলেও বাস্তবে আইন এর কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে নাসিরনগরে লঙ্গিত হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন। আইন অমান্য করেই চলছে পাবলিক প্লেসগুলোতে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার ও বিক্রি। খোদ সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই চলছে আইনের অবমাননা।

নাসিরনগরের মত একটি প্রাকৃতিক সোন্দর্য মন্ডিত এলাকায় চলছে প্রকাশ্যে ধুমপান, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবার মত মরণ নেশা সেবন। নাসিরনগরের কোথাও নেই ধুমপান বিরোধী কোন সাইন বোর্ড। যা সাধারণ মানুষকে যথেষ্ট অবাক করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে আমাদের এ প্রতিনিধি নাসিরনগর সদর পোষ্ট অফিসের উক্ত কর্মচারীকে অফিসের ভিতর ধুমপান না করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি বলেন আমি আমার বাবার টাকা দিয়ে সিগারেট কিনে খাচ্ছি তাতে সরকারে কি? তিনি আরো বলেন নাসিরনগরে এমন কেউ নেই যে আমার কিছু করতে পারে।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ সদর পোষ্ট অফিসে প্রকাশ্যে ধূমপানের বিষয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষেধ। অফিসে বসে কোনো ব্যক্তি প্রকাশ্যে ধূমপান করতে পারেন না। কারণ অফিসটি পাবলিক প্লেস হিসেবে গণ্য।






Shares