Main Menu

নাসিরনগরে ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুল ঘর, তবু পরিক্ষা দিলেন শিক্ষার্থীরা।

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা , নাসিরনগর হতে: কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেল স্কুল ঘর, তবু পরিক্ষা দিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। গ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আজ অনুষ্ঠিত হয় পরিক্ষা। স্কুল হতে প্রায় ১.৫০ কিলোমিটার দূরে কমিউিনিটি সেন্টার তাই এত দূরে যেতে চায়নি অনেক ক্ষুদে পরিক্ষার্থী। আবার অনেকেই স্কুল চিনেনা বলেও জানান।
প্রসঙ্গত,২১ এপ্রিল শনিবার সকালে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যায় বিদ্যালয়ের টিনের চালা। এসময় কাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় স্কুলটি। স্কুল ঘরের টিনের চালাটি প্রায় ২০০ মিঃ দুরে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
আন্দ্রবহ আদর্শ গুচ্ছ গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক ইউপি মেম্বার রশিদ মিয়া বলেন, সরকারী খাস ৩০ শতক জমিতে ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠত হয়। ২০১০ সালে প্রয়াত মন্ত্রী এড. ছায়েদুল হক স্কুলের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সরকারী ও স্থানীয় ভাবে অর্থের জোগান দিয়ে মূলত এ স্কুলের কাজ শুরু হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ভেতর ব্রেঞ্চ, টেবিল, চেয়ার কিংবা পাঠদানের উপকরণ নেই। শুধু রয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ের ধ্বংশের চিহ্ন। প¦ার্শবর্তী তুল্লাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন ও বেরুইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিক্ষা নিতে দেখা যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তুল্লাপাড় স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কান্তি রায় বলেন মেডাম ট্রেনিংএ আছেন তাই উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে আমরা এ স্কুলে পরিক্ষা নিতে আসছি।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল,হিমাংশু দাস ও রেবতী দাস বলেন, এহানে আমরার বালা লাগতাছেনা। আমরার স্কুলে যাইতে চাই। ইহানে কারেন নাই খুব গরম লাগে। আর এত দূরে হাইট্টা আইতেও কষ্ট লাগে।
সকাল ১০টা শুরু হওয়া প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরিক্ষায় উপস্থিতি ছিল কম। প্রথম শ্রেণিতে আছে মোট শিক্ষার্থী ৫১ জন। উপস্থিত ছিল ৪০ জন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ৪৮ জন। উপস্থিত ছিল ৩৫ জন। ৩ ধাপে পরিক্ষা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি বেগম বলেন, হঠাৎ করে স্কুলের স্থান পরিবর্তন হওয়ায় পরিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা বলেন, আমি ২২ তারিখ স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।






Shares