Main Menu

সরাইলে ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী গিয়াস উদ্দিন নিখোঁজ ॥ যুবক গ্রেপ্তার

+100%-

প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এ.কে.এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও উপজেলা ছাত্রলীগের (স্থগিত কমিটি) সহ- সভাপতি ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিন সেলু (৩০) গত ৩দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৮ জুন শনিবার দুপুরের পর থেকেই তিনি নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজ সেলু সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া গ্রামের এলু মুন্সির ছেলে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্র্যাইব্যুনালে সেলুর স্বাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে হারুন মিয়া- (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সদর ইউনিয়নের হাফিজটোলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিখোঁজ হওয়া সেলুর পারিবারিক সূত্র জানায়, ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিন সেলু ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার একজন জখমী সাক্ষী। গত শনিবার দুপুর ১২টার পর কট্টাপাড়া যাওয়ার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়। দুপুরের পর তার  মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যোগাযোগ করেও তার সন্ধ্যান মিলেনি। পরে গত ৯ জুন রবিবার সন্ধ্যায় সেলুর মা আঙ্গুরা বেগম সরাইল থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডি নং- ৩১৭।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই ইশতিয়াক বলেন, গিয়াস উদ্দিন নিখোঁজের দিনে গ্রেপ্তারকৃত হারুন ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার (জামিনে আসা) কয়েকজন আসামীকে বিভিন্ন জায়গায় পৌছে দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরন করেছি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য ঃ দলীয় কোন্দলের জের ধরে গত বছরের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইকবাল আজাদ শারদীয় দূর্গাপূজা পরিদর্শনের জন্য গাড়ি নিয়ে সরাইল বাজারে প্রবেশকালে গাড়িটি টেম্পু স্ট্যান্ডের কাছে পৌছলে প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে গাড়ি থেকে নামার সিগন্যাল দেয়। ইকবাল আজাদ গাড়ি থেকে নামা মাত্র প্রতিপক্ষের ক্যাডাররা তাকে উপর্যপুরি কুপিয়ে ও বুকে বল্লম দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। ইকবাল আজাদকে রক্ষা করতে গিয়ে গাড়িতে থাকা তার ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সানাউল্লাহ সেলু  সহ ৫ জন আহত হয়।  
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছোট ভাই প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (বিলুপ্ত কমিটি) আব্দুল হালিম সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন কে আসামী করে হত্যা সরাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই মাস তদন্তের পর পুলিশ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্র্যাইব্যুনালে মামলাটির শুনানি চলছে।






Shares