Main Menu

নবীনগরে ৬ সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা!

+100%-
নবীনগর থেকে প্রকাশিত ‘মলয়া’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে  একটি মানহানির মামলা হয়েছে।
পত্রিকাটিতে একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় ৬ সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ‘বাদীর ৫০ লাখ টাকার মানহানি হয়েছে’  এমন অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হলেন নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  মো. মনির হোসেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ( সি.আর মামলা নং-৩৯/১৮)  মামলাটি দায়ের করা হয়।  বিজ্ঞ হাকিম মামলাটি গ্রহণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি পুলিশের ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা ডিবির ওসি এস এম কামরুজ্জামান আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়২৪ কে এ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,” আদালতের নির্দেশনার কপি ইতিমধ্যে ডিবি অফিসে এসে পৌঁছেছে।”
এদিকে আলোচিত এ মামলায় যাদেরকে  আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- সাপ্তাহিক মলয়া’র উপদেষ্টা সম্পাদক মাহাবুব আলম লিটন, পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, পত্রিকার  নির্বাহী সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল, মলয়া’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, বার্তা সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মফস্বল সম্পাদক মোস্তাক আহম্মদ উজ্জল এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মার্কেটের দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া মোজাম্মেল হক, পারভেজ আহম্মদ চৌধুরী ও রেজাউল করিম।
জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় সাপ্তাহিক মলয়া পত্রিকায় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতার আর্থিক কেলেঙ্কারি, এমপি’র নির্দেশের পর তদন্ত শুরু’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদকে মিথ্যে দাবি করে মামলাটি করেন ওই শিক্ষক নেতা মনির হোসেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক নেতা মোঃ মনির হোসেন জানান, “আসামিগণ সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দ্যশ্যে  প্রাপ্ত অভিযোগের তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই না করেই সাপ্তাহিক মলয়া পত্রিকাতে আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যে, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন ভাবে ‘শিক্ষক সমিতির নেতার আর্থিক কেলেংকারী’ শিরোনামে এ ধরণের অসত্য সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। আমি মনে করি, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এ ধরণের ভুয়া সংবাদ করে সমাজে আমার মানহানি করা হয়েছে।
তাই আমি মহামান্য আদালতের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে বিচার প্রার্থী হয়েছি।”
এদিকে এ বিষয়ে সোমবার (০৫/০৩) রাতে নবীনগর প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভায়  সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা এই মানহানি মামলাটির বিষয়ে  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব আলম লিটনের সভাপতিত্বে ওই সভায়  উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, সাংবাদিক আবু কামাল খন্দকার,কান্তি কুমার ভট্টাচার্য্য,আসাদুজ্জামান কল্লোল, জালাল উদ্দিন মনির, শ্যামাপ্রসাদ চত্রুবর্তী শ্যামল সাইদুল আলম প্রমুখ।
এ বিষয়ে সাপ্তাহিক মলয়ার উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন বলেন,” তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই ওই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ করা হয়েছে। যার যাবতীয় ডকুমেন্ট আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। আমরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গতকাল এর প্রতিবাদ ও জানিয়েছি।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নেয়া হবে।”





Shares