Main Menu

আজও ৭ জন আক্রান্ত

নবীনগরে লক ডাউন ভেঙ্গে ‘মানববন্ধন’! ফের করোনার আতংক!

+100%-
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধিঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর  হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে কয়েক’শ লোকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক ‘মানববন্ধন’ নিয়ে স্থানীয় জনমনে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আতংক দেখা দিয়েছে। আজও নবীনগর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারসহ  উপজেলায় মোট সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে মানববন্ধনে অংশ নেয়া কয়েশ লোককে কমপক্ষে ১৪দিন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয়  প্রশাসন। ঘটনার পর নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের ডেঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা মৃত লিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় লগ্নি ব্যবসায়ী (সুদের ব্যবসা) জাহাঙ্গীর মিয়া (৫০) কে গত ১৫ মমে শুক্রবার রাতে নৃশংসভাবে খুন হন।  এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে নিহত জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ একই গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মোতালেব মিয়া (৫০) কে একমাত্র আসামি করে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ পরদিনই মোতালেবকে গ্রেপ্তার করে।
তবে মোতালেব গ্রেপ্তার হওয়ার পরও স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী  মহলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বাড়ি বাড্ডা এলাকায় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কয়েকশ নারী পুরুষের উপস্থিতিতে চলমান কঠোর লক ডাউনের মধ্যেও কোন ধরণের অনুমতি না নিয়েই বিশাল এক মানববন্ধন করে এলাকাবাসি। বিশাল ওই মানববন্ধনের সংবাদটি স্থানীয় অনলাইন টিভিতে প্রচার হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। ফলে করোনার মধ্যেও মানববন্ধনে এত লোকের অংশগ্রহণের পর এ নিয়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আতংক দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধনের উদ্যোক্তা এলাকার চার বিশিষ্টজন প্রাক্তন শিক্ষক মোশারফ হোসেন মাস্টার, কামাল মেম্বার, ছলিম উল্লাহ ও সালাউদ্দিন নামের চারজনকে থানায় তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন।
এ বিষয়ে মোশারফ হোসেন মাস্টার বলেন,” সার্কেল স্যার আমাদেরকে ডাকাইছিলেন। আমরা ভুল স্বীকার করে বলেছি লকডাউনে এভাবে মানববন্ধন করাটা আমাদের ঠিক হয়নি। এখন সার্কেল স্যারের নির্দেশে পুরো এলাকা স্থানীয় চেয়ারম্যান লকডাউন ঘোষণা করে মাইকিং করছেন।
সলিমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, মানববন্ধনে যারা অংশ নিয়েছিল, সার্কেল স্যারের নির্দেশে এলাকায় মাইকিং করে সেইসব লোকদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন,”মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কেন এই মানববন্ধন করা হলো? এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া চলমান লকডাউনে এভাবে মানববন্ধন করা যায় কি? তাই বিষয়টি জানতে চারজনকে ডেকেছিলাম। পরে এলাকার স্বার্থে চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এ বিষয়ে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম জানান, পুরো বিষয়টির খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”





Shares