Main Menu

নবীনগরে যানজটে দিশেহারা নগরবাসী, দেখার কেউ নেই…

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিশু চালক! সিএনজি চালিত অটোরিকশার দখলে সড়ক। তারপর পণ্যবাহী ট্রাকের যখন তখন আসা যাওয়া। ইচ্ছেমত পার্কিং। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যেনতেন ভাবে ব্যাটারি চালিত রিকশার এলোপাতাড়ি চলাচল।
এসব কারনে সময় অসময়ে নবীনগর পৌর সদরের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যানজটে নাকাল হয়ে পড়ছে নগরবাসী। নিয়মিতই থমকে দাঁড়াচ্ছে এখানকার জনজীবন।
আগুন লাগলেও যানজটের কারনে আটকা পড়ছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। খুবই কষ্টে পার হচ্ছে অফিস আদালতের গাড়ি। বাদ পড়ছে না এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র,ওসি ও ইউএনও’র গাড়িও।
সরেজমিনে পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নবীনগর পৌর সদরের অফিস পাড়া ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হচ্ছে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো সড়ক থেকে উপজেলা পরিষদ রোড। সড়কটির আশেপাশে রয়েছে পৌরসভা কার্যালয়, থানা, উপজেলা পরিষদ, সাবরেজিষ্ট্রার অফিস, ভূমি অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমপ্লেক্স সহ একাধিক সরকারি বেসরকারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে মসজিদ ও কিন্ডারগার্টেন।
সরকারি রেকর্ড থেকে বর্তমানে কম প্রসস্তের ব্যস্ততম এ সড়কটি এখন হকার ও অটোরিকশার দখলেই থাকে।
বয়স্ক মুসল্লিরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় এ সড়কে মসজিদে যাওয়া আসা করেন। অনেকে ভয়ে মসজিদে না গিয়ে বাসা বাড়ি বা দোকানেই নামাজ আদায় করেন। কারণ সম্প্রতি ২-৩ জন মুসল্লি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরূতর আহত হয়েছেন।
একাধারে গত ৬-৭ বছর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে কয়েকশতবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান এ সড়কটি থাকে অটোরিকশার ও হকারের দখলে। এরপর রয়েছে বাজারে পণ্যবাহী ট্রাকের অবাধ যাতায়ত। যত্রতত্র পার্কিং। ফলে নিয়মিত যানজটে নাকাল এখন নবীনগর পৌরবাসী। এ সড়কে যাতায়তকারী পথচারী, শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা। একটি ট্রাক সদর বড় বাজারে ডুকে পরলে নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক থেকে কোট রোড সড়কে যানজট লেগে যায়। তিন দিকে এক/দের কিলোমিটার এলাকায় আটকা পড়ে শতশত যানবাহন।
এ বিষয়ে নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড শিব শংকর দাস বলেন, নবীনগর পৌরসভায় কোন ট্রাফিক পুলিশ নেই। যানজট নিরসন করা পৌরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সহযোগীতা করলে মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যেই যানজন নিরসন করা যাবে।






Shares