Main Menu

নবীনগরে বিভিন্ন দোকানে এলপি গ্যাসের অবৈধ ব্যবসা

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় যত্রতত্র বিভিন্ন দোকোনে অবাধে চলছে ফায়ার লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা ব্যবসা। যে কোন ধরণের বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য নেই কোন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ,মাছের খাবারের দোকান,সার-বিষ,মুদি ও রড-সিমেন্টের দোকান,এমনকি পানের দোকানেও প্রকাশ্যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে এই সব দোকানের ফায়ার লাইসেন্স তো দুরের কথা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও তাদেও নেই। নবীনগর উপজেলা একটি পৌরসভা সহ ২১টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাজারেই বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার কম বেশি বিক্রয় হচ্ছে। ১০টির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্সর প্রয়োজন হবে না এমন আইনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নবীনগর উপজেলার অধিকাংশ এলপি গ্যাস ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দেখা যায়, লাইসেন্স আছে এমন গ্যাস ও দাহ্যপদার্থ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ হাসিলের জন্য ট্রাকে করে বিপদজনক গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে ভাঙ্গাচোরা কাচা-পাকা রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে দোকানে দোকানে সরবারাহ করছেন। জানা যায়,৮টি সিলিন্ডার মজুদ করতে হলেও অধিককতর নিরাপত্তার জন্য অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না খুচরা গ্যাস ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার সদর সহ ২১টি ইউনিয়নরে প্রায় হাজার খানেক দোকান রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু দোকানির সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতা বিষয়ে কোন ধারনা নেই।সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবে ঝুকিপূর্ন ব্যবসা জেনেও তারা সরকারি অনুমদিত লইসেন্স ও অগ্নিনির্বারক ব্যবস্থাপনা ছাড়াই ব্যবসা করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা এলাকায় দিনকে দিন বাড়ছেই।যে কোনো সময় ঢাকা চকবাজারের মত অবস্থ হতে পারে আমাদের পাড়া মহল্লা গুলোতে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা নিশ্চিন্তে এই মরন অতঙ্কের ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম বলেন,বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমি দ্রুতই উপজেলা আইনশৃখলা সভায় বিষয়টি উথাপন করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।






Shares