Main Menu

নবীনগরে পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় এক পুলিশ অফিসারকে ফাঁসানোর অভিযোগ

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ও ঝিনুক নিধনের ঘটনায় এক নিরেহ পুলিশ অফিসারকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
জান যায়, গত ৮মার্চ রবিবার রাতে উপজেলার নারুই গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে নোমান মোল্লার আড়াই একর জায়গার একটি পুকুরে মাছ ও ঝিনুক নিধনের ঘঁনা ঘটে। এতে তার পুকুরে থাকা অর্ধলক্ষ টাকার মাছ ও ঝিনুক মারা যায়।
এলাকায় না থাকা সত্ত্বেও এ ঘটনায় সাথে জড়াতে বর্তমানে সোনাগাজী থানয় কর্মরত পুলিশের এসআই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে চেষ্টা চলছে একটি পক্ষ।
এ বিষয়ে পুকুরের মালিক আবু সালেক মোল্লা বলেন,আমার আড়াই একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাদিক টাকা মূল্যের মাছ ও ঝিনুক চাষ করা হয়েছিলো। যা বিক্রিয় করলে ৪০ লক্ষাদিক টাকা পেতাম। তিনি অভিযোগ করেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গ্রামের এসআই আশরাফ ও কামাল ফকির গং পরিকল্পিত ভাবে আমার এই ক্ষতি করতে পারে। আমি তাদের আসামি করে মামলা করবো।
সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য অধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় এলাকার দুটি পক্ষ হয়ে আছে কেউ শত্রুতা করে এই ঘটনা করতে পারে। তবে পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় অন্যত্র চাকিরত অবস্থায় থাকা আমাদের গ্রামের এক পুলিশ অফিসারের নাম বলাটা খুবই দুঃখ জনক।
এছাড়াও জানা যায়, সর্ব শেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি সহ তিন মাসে ওই পুকুরে তিন বার মাছ ও ঝিনুক বেঁচা কেনা হয়েছে। তারপরেও কিভাবে বলে ওই পুকুরে ৪০লক্ষ টাকার মাছ থাকে।
বর্তমানে সোনাগাজী থানয় কর্মরত পুলিশের এসআই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, আমি এখন চাকরিরত অবস্থায় বান্দরবনে আছি। মূলত সালেক মোল্লা নিজেই একজন বাজে লোক । তার বিরুদ্ধে একবার এলাকায় গরু চুরির অভিযোগে সে জেলও খেটেছে। এ ঘটনায় আমার নাম জড়ালে আমি তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গস্খহণ করবো।
নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় জানান, এ বিষয়ে শুনার পর ফরেনসিক রিপোটের জন্য ঘটনাস্থল থেকে পুকুরের পানি,মাছ ও ঝিনুক সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোট হাতে পেলে বলা যাবে এটি পরিকল্পিত না অপরিকল্পিত।






Shares