Main Menu

পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে বড়াইলের সোহাগকে হত্যাচেষ্টা করে চিলোকূটের পারভীন

+100%-

পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে এক গৃহবধূ। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত স্ত্রী পারভীন বেগম (৩০) ও পরকীয়া প্রেমিক আলামিন মিয়াকে (২২) থানায় নিয়ে যায়। পারভীন বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিলোকূট গ্রামের মুন্সি বাড়ির ইদন মুন্সির মেয়ে। অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক আলামিন মিয়া ভৈরব পৌর এলাকার গাছতলাঘাটের মকবুল মিয়া ছেলে।

ভুক্তভোগী স্বামী সোহাগ মিয়া (৪৫) পাদুকা কারখানার শ্রমিক। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়াইল গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে ভৈরব শহরের কমলপুর উলাকিয়া হাটির লাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। তার একটি মেয়ে ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে স্বামী সোহাগ মিয়ার ভাড়া বাসায় পরকীয়া প্রেমিক ও স্ত্রী মিলে সোহাগ মিয়াকে মারধর করে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় সোহাগ মিয়ার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন গিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ করে সোহাগকে তার স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক মিলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করছে। পরে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে অভিযুক্তদের আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় সোহাগ মিয়া স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার চিৎকারে আমরা কয়েকজন মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি পারভীন ও তার সঙ্গে একজন পুরুষ সোহাগের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রেখেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুরভি আক্তার জানান, রোগী অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠাতে হবে।

ভৈরব থানার এসআই শহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে আহত সোহাগ মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত পারভীন বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক আলামিন মিয়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






Shares