Main Menu

পৌর নির্বাচন :: কসবা অনিয়ম, কারচুপি : সংঘর্ষ, বাড়ি দোকান ভাংচুর

+100%-
kasba1
ডেস্ক ২৪::  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার পৌর নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও প্রকাশ্যে সিল মারাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন।
এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিনজন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ২৭ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এমরান উদ্দিন জুয়েল নৌকা প্রতীক ১৮হাজার ৪শত ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয় হয়। তার নিকতম প্রদ্বিন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী মুহাম্মদ ইলিয়াস ধানের শীষ ১৩শত ৪৩ ভোট পেয়ে নৌকার কাছে পরাজিত হয়েছেন।অপর দিকে জাতীয় পার্টির(জেপি) মেয়র প্রার্থী মো:মনির হোসেন দেলোয়ার লাঙ্গল প্রর্তীক ৪শত ৪৭ ভোট পেয়েছেন। কসবা পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫হাজার ৮শত ৭১জন।
Kasba_Puro_Election
সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে আড়াইবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বেশকিছু কেন্দ্রে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে কেন্দ্র দুটিতে কিছু সময় ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। এ সময় নারীসহ ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান তাঁরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
Kasba_Puro_Election1
সকাল ৯টার দিকে কসবা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিলা মারা শুরু হয়। ১০টায় ওই কেন্দ্রে পুলিশের সামনেই সিল মারার সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল কেন্দ্রে যান। তখন সমর্থকরা তাকে জানান, ভাই চিন্তা করবেন না। সব দখলে আছে। কসবা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মো. সাব্বির হাসান জানান, ওই কেন্দ্রের ২ হাজার ৭৮৬ ভোটের মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভোট গ্রহণ শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় অর্ধেক ভোট পড়ে। অথচ দুপুরের দিকে ওই কেন্দ্র ২টি ফাঁকা ছিল।
কসবায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের মাঠে নৌকা প্রতীকের সাদা টি-শার্ট পরিহিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়। ওই কেন্দ্রের সাতটি বুথে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা হচ্ছে। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেসবাহ উদ্দিন ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্বে থাকা কসবা থানার এসআই বেলাল হোসেন তখন ছিলেন নীরব দর্শক। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই কেন্দ্রের সাত নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সাহা ব্যালট বই ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনির হোসেনের কাছে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সফিকুল ইসলাম কেন্দ্রের বাইরে গাড়িতে বসে পুলিশ পরিদর্শক মেসবাহ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কেন্দ্রের বাইরে গাড়িতে বসেছিলেন আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঈন উদ্দিন। কেন্দ্রের পরিস্থিতি অবহিত করলে তিনি বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে আমার দায়িত্ব নেই। আমার দায়িত্ব বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।
বেলা ১১টার দিকে আড়াইবাড়ি মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিশারাবাড়ি গ্রামের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু সেলিম সোহেলের বাড়ি ও তিন দোকানটি দোকান ভাঙচুরের শিকার হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনেও দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে বেলা পৌনে ১১টায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুহাম্মদ ইলিয়াছ কসবা খাড়পাড়ায় তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, সকাল নয়টায় মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্র সরকারদলীয় সমর্থকেরা দখল করে নিয়েছেন। ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কসবা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, কসবা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, আড়াইবাড়ি ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে সকাল ১০টার পর কেউ মেয়র পদের ব্যালট পাননি।
অপরদিকে, নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল জানান, মানুষ পরিবর্তন চেয়েছে, উৎসাহ-উদ্দীপনার এ ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়েছে। শপথের পর থেকে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে সকল দল ও সকল নাগরিকের কল্যাণে কাজ করব ।
2016_05_17_13_46_32_MnhRMWafK2wFY9U9WXb4mxtfeCmuk1_original
কেন্দ্রীয় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন::

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মতোই পৌর নির্বাচনেও আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বুধবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

তিনি তার লিখিত বক্ত্ব্যে বলেন, কসবা পৌরসভা নির্বাচনে সকালে ভোট শুরু হওয়ার পরপরই স্থানীয় ও বহিরাগত ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিই দখল করে নেয়। কসবা মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার মো. শহিদুল আমিন ভুঁইয়া ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে সিল মারার সময় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. ইলিয়াস প্রতিবাদ জানালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, আব্দুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার বসু (মিন্টু) প্রমুখ।






Shares