Main Menu

কসবায় কাতার চ্যারিটির উদ্যেগে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন

+100%-

কসবা প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সকলে মিলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কাতার চ্যারিটি প্রকল্পের উদ্যোগে এলাকার পাঁচ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে কাতার চ্যারিটি প্রকল্পের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নিজ বাস ভবনে অসহায় ও নি¤œ আয়ের পরিবারের মাঝে এসব ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। ঈদের আগ মুহুর্তে এসব ঈদ সামগ্রী পেয়ে অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পোলাউর চাল, তেল, সেমাই, চিনি, লবন ও দুধসহ অন্যান্য সামগ্রী। কাতার চ্যারিটি বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীও উপস্থিত থেকে এসব সামগ্রী অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরন করেন।

বিনাউটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেদন খানের সভাপতিত্বে ও রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদের সঞ্চালনায় ঈদ সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার। প্রধান মেহমান ছিলেন কসবা-আখাউড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন ও কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সৈয়দাবাদ এএস মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবদুল কাইয়ুম, ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মনির হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষানূরাগী মনির হোসেন চৌধুরী বাক্কু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আতাউল্লাহ ভ’ইয়া, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবু জাফর শেখ রাসেল, এনামুল হক ভ’ইয়া স্বপন, হারুনুর রশিদ ভূইয়া, ইউপি সদস্য রাসেল মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য রবিন আহমেদ। এসময় এলাকার গন্যমান্য লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ইসলামের প্রধান লক্ষ্য হলো আমরা সবাই মিলে একসাথে ঈদ করবো এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো। তারই অংশ হিসেবে সরকারী ভাবেও প্রান্তিক পর্যায়ে অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়। আইনমন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে এলাকার অসহায় পরিবারগুলোর জন্য ভিজিডি ও ভিজিএফ চাল বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। এছাড়াও সরকারী নিরাপত্তার যে সকল সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো আমরা সবসময়ই করে থাকি। সরকারের একার পক্ষে সকলকে সেই নিরাপত্তার মাঝে আনা সম্ভব হয়না। জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মতো সকল সামর্থ্যবান লোকজন যদি সকল উৎসবে সাধারন মানুষের পাশে দাড়াই তাহলে সবাই মিলে একটি সুন্দর পরিবেশ ও সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুদামুক্ত ও দারিদ্রতা মুক্ত একটি স্মার্ট এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়া। এটা অনেক বড় একটা লক্ষ্য। এটা বাস্তবায়নে সবাই মিলে যদি আমরা এগিয়ে আসি তাহলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবো। তিনি এই মহতি কাজের জন্য আয়োজককে সাধুবাদ জানান।

ঈদ সামগ্রী বিতরন শেষে কাতার চ্যারিটি বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন যেন আমাদের গ্রাম তথা এলাকার অসহায় মানুষগুলো যেন ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারে এবং ঈদের আনন্দটুকু যেন ধনী-গরিব সবাই ভাগাভাগি করে নিতে পারি সেই লক্ষ্যেই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আমি চাই আমার মতো করে এলাকার সকল সামর্থবান মানুষ যেন এসব অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই তাহলে এই মানুষগুলো কিছুটা হলেও ক্ষুদামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত জীবন যাপন করতে পারবে। আগামী বছরগুলোতে যেন উপজেলা ছাড়িয়ে জেলাব্যাপী এই আয়োজন করতে পারেন তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।






Shares