Main Menu

ফলোআপ : আখাউড়ায় পিতা-পুত্র হত্যা,প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, সমাবেশ

+100%-



প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ঘোলখার গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের রাম দায়ের কোপে দুজন নিহতের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে গ্রামবাসী। শনিবার দুপুরে ঘোলখার-ধরখার সড়কে গ্রামবাসী হাতে হাত রেখে দীর্ঘ মানবন্ধন তৈরি করে। পরে গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবাদ সমাবেশ করে খুনীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি করেন।
ঘোলখার গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেদ মিয়ার নেতৃত্বে মানবববন্ধনে বিশিষ্টজনদের মধ্যে অংশ নেন ইরন ভূঁইয়া, দারুল আলম ভূইয়া, হোসেন ভূঁইয়া, কাজী কবির  হোসেন, কাজী তাহের মিয়া, কাজী রুকন উদ্দিন, সেলিম খান, জামাল খান, আফজাল খান, মাসুদ খান ও সোলেমান খান প্রমুখ।
পরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম ভূঁইয়ার বাড়ি প্রাঙ্গনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মনু, সাবেক ইউপি সদস্য মধুসুদন দাস, ইরন ভূঁইয়া, কাজী কবির হোসেন,  নিহতের ভাতিজা সেলিম খান। এছাড়া সমাবেশে ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ চৌধূরী উপস্থিত ছিলেন।
সমবাবেশে বক্তারা বলেন, ঘোলখার গ্রামে এভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মানুষ মারার ঘটনা এই প্রথম। তাই এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। বক্তারা খুনীদের ফাঁসির দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, বাড়ির সীমানা নিয়ে পূর্ব বিরোধে গত মঙ্গলবার রাতে ঘোলখার গ্রামের রিফৌজি বাড়ির লোকজন খাঁ বাড়ির লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে প্রতিপরে রাম দায়ের কোপে গোলাপ খান (৯০) ও ছেলে ইসমাইল খানসহ (১৪) তাঁদের বাড়ির অন্তত ১০ জন আহত হয়।  গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার দিনগত রাতে গোলাপ খান ও তাঁর দুই ছেলে মুজিবুর খান ও ইসমাইল খানকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে ইসমাইল খান, পৌনে চারটার দিকে গোলাপ খান মারা যান।






Shares