Main Menu

‘রক্ষণশীলতা দুরীকরণের উপাদান হলো পাঠাগার’:: রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুলতানা কামাল

+100%-

sufia kamalডেস্ক ২৪:: বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের জন্য বারবার বিশ্ববাসীর কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক, মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সত্যিই আজ সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরেও বিশ্ব দরবারে আমাদেরকে বারবার জবাবদিহি করতে হচ্ছে, কেন তোমাদের দেশে যৌন হয়রানি বাড়ছে, বাল্যবিয়ে বাড়ছে, কেন মেয়েরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য গ্রামে-গঞ্জে পাঠাগার স্থাপন একটা ভালো উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, পাঠাগার থেকে রক্ষণশীলতা দুরীকরণের উপাদান খুঁজে পায় মানুষ। বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে কুসংস্কারমুক্ত থাকতে প্রভাবিত করে। সর্বোপরি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার প্রণোদনা দেয় বই।
বাংলাদেশ প্রত্যেকটা নাগরিকের জন্য নিরাপদ দেশ হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এজন্য মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারি হিসেবে প্রত্যেক নাগরিককেই দেশটাকে মন থেকে ভালোবাসতে হবে। নাগরিকরা দেশকে ভালোবাসলে কেউ তার অনিষ্ট করতে পারে না।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানের গণমাধ্যম সহযোগি ছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বনামধন্য দৈনিক তিতাসকণ্ঠ।
রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেজিষ্ট্রার মোঃ মাহফুজুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত। পাঠাগার পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক দীপক চৌধুরী বাপ্পী’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার সম্পাদক শওকত চৌধুরী, পরিচালনা পরিষদের সদস্য কবির হোসেন কানু, সিনিয়র সিটিজেন ও সমাজসেবক আমির চৌধুরী, সীমান্ত মাদার্স ক্লাবের সভাপতি ডা. জেসমিন আহমেদ প্রমুখ।
আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্টের সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্কুলের প্রাথমিক শেষ করা ৭১ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।






Shares