Main Menu

দীর্ঘ আঠার মাস পর বাপ্পি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন :: টাকা আত্মসাৎ করার কারণে হত্যা করে নিজ গ্রুপের সদস্যরা

+100%-

আখাউড়ায় প্রায় দেড় বছর পর অবশেষে বাপ্পি হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুমের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। বাপ্পি মাদক চোরাচালান, ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ছিল। টাকা আত্মসাৎ করার কারণে ওই গ্রুপের লোকজনই তাকে হত্যা করে। পরে লাশ একটি কবরে গুম করা হয়। ওই গ্রুপের সদস্য ৯ জন।

বাপ্পি হত্যাকাণ্ডে বাকি ৮ জনই অংশ নেয়। সোমবার রাতে আটক আলাউদ্দিন পুলিশের কাছে এ ঘটনা স্বীকার করে। মঙ্গলবার সকালে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাপ্পির লাশ গুম করে রাখার জায়গাটি চিহ্নিত করতে যায় পুলিশ। সেখানে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা খুলে বলেন আখাউড়া থানার ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার। এ সময় বাপ্পির একজন হত্যাকারী স্বপনের ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডের আলামত জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনার পর তার মা মোছাম্মৎ সাজেদা বেগম সাজু বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর হত্যাকারীদের মধ্যে ইদ্রিস, স্বপন ও সোহরাব নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা খুনের কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার রাতে আলাউদ্দিন, বাবু, ওয়াসিম ও সেন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় তারা বাপ্পি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, মাদক কেনাবেচা ও ডাকাতি করা টাকা-পয়সা জমা রাখত বাপ্পির কাছে। ওই টাকা আত্মসাৎ করায় গ্রুপের অন্যরা তাকে স্বপনের ঘরে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বপন, ইদ্রিস, বাবু, ওয়াসিম, আলাউদ্দিন, সেন্টু, সোহরাব ও রাসেল বাপ্পিকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। বালিশচাপা দেয়ার কাজটি করে আলাউদ্দিন। পরে পাশের হাওড়া নদীর পাড়ে একটি পুরনো কবরে লাশ পুঁতে ফেলে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন (আখাউড়া-কসবা) সার্কেল এএসপি মো. আবুল করিম।






Shares