Main Menu

বিদ্যালয়ে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর থাকলেও শিক্ষকদের ক্লাশ না করানোর অভিযোগ

+100%-

সংবাদাদতা :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর থাকলেও বিদ্যালয়ে ক্লাশ না করানোর অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ৬ শিক্ষককে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে নড়েচড়ে বসেছে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকরা।

সরেজমিনে আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় ১০/১২ জন শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের অনেকে ঢাকায় কিংবা আশুগঞ্জ উপজেলার বাহিরে থাকেন। কিংবা সরকারী চাকুরী করেও রাজনীতি ও ব্যবসা এবং অন্যান্য কাজ  করে থাকেন। শুধু মাঝে মধ্যে এসে সই স্বাক্ষর করে চলে যান। তবে নিয়মিত বেতন নিতে ভুল করেন না। যার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে। এমন কিছু অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চলতি মাসে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নামে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে এমন অভিযুক্ত ৬ শিক্ষককে শোকজ করে কর্তৃপক্ষ। আর এই শোকজকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে অভিযুক্ত শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলের দ্বারস্থ হচ্ছে শিক্ষকরা। অভিযোগ করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিরুদ্ধে। এখন তারা বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করার চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে একজন সোহাগপুর দক্ষিণ সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনির হোসেন। নিজেকে আবার কখনও বাবুল আক্তার বন্যা হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি কবে কখন স্কুলে আসেন তা বিদ্যালয়ের কেউ বলতে পারবেনা। তার কাছে অসহায় প্রধান শিক্ষক, টিইও এমনকি ডিপিইও। তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন উপজেলার শীর্ষ কর্মকর্তা আর রাজনীতিবীদের তোষামদি নিয়ে। ছাত্রছাত্রীরা জানায় স্যার অনুষ্ঠান হলে বিদ্যালয়ে আসেন। যার কারণে কয়েকবার তাকে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ শোকজ করা হলেও বহাল তবিয়তে থাকেন তিনি। এমন অভিযোগ রয়েছে শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক এর বিরুদ্ধেও। তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন তার পরিবার আর বাড়িঘর ও বংশ নিয়ে। বিদ্যালয়ে শুধু  সুযোগ পেলে আসেন। তিনিও উপজেলা প্রশাসনের র্শীষ কর্মকর্তার আস্থাভাজন হওয়ায় অনেক সময় ঘটনার আড়ালেই থেকে যান ।

এমন অভিযোগ রয়েছে উপজেলার চরচারতলা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বিলকিস, বাজার চারচারতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লৎফুন নেছা শেলি, সহকারী শিক্ষক সাইফুল খন্দকার সোহাগ, চরলালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ: সালাম, সহকারী শিক্ষক আবু তালেবসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে শোকজ ও করেছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।

তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা নাসরিন জানান সমাপনী এবং বার্ষিক পরিক্ষা সামনে রেখে উপজেলায় বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান বাড়াতে শ্রেনী কক্ষে শিক্ষকদের উপস্থিতি এবং পাঠদান বাধ্যতামুলক। বিভিন্ন কারনে ইতিমধ্যে কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে । এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানিয়েছেন অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে বিদ্যালয় ও শিক্ষকের নাম বললে তদন্ত সাক্ষেপে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






Shares