Main Menu

আশুগঞ্জে পুতুলের প্রতারণার ফাঁদ

+100%-


আশুগঞ্জ সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার রহস্যময়ি নারী সেতারা পারভিন ওরফে পুতুলের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই নি:স্ব হয়েছেন। আশুগঞ্জের মাদক ব্যবসায়িদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রহস্যময়ী এই নারী গড়ে তুলেছেন ‘আনন্দ ঘর’। তার আনন্দ ঘরে পা দিয়েই প্রতারণার শিকার হয়েছেন লোকজন। আর এই আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ি ছাড়াও রাজনীতিবদি, ব্যবসায়ি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালিরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, রহস্যময়ী এই নারী নিজের বাড়ি খুলনা কিংবা মুন্সিগঞ্জ জেলা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তার বাড়ি কোথায় তা জানে না কেউ। প্রতারক এই নারী কোথাও নিজের ঠিকানা ব্যবহার করেননি।
একটি সূত্র জানায়, প্রথমে তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে  বসবাস শুরু করেন। গত ৭/৮ বছর আগে তিনি আশুগঞ্জের হিরা মিয়ার বাড়িতে আস্তানা গাড়েন। সেখানে নিজ বাসায় গড়ে তোলেন আনন্দ ঘর। ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা সবকিছুর আড্ডা বসতো তার আনন্দ ঘরে। সেখানে ঢাকা থেকে সুন্দরি নারী এনে গোপন অভিসার চলতো। এক পর্যায়ে এসব জানাজানি হলে আশুগঞ্জ ছাড়তে হয় তাকে।
সূত্রটি জানায়, আশুগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিবদি, ব্যবসায়ি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালিরা তার আনন্দ ঘরে নিয়মিত যাতায়ত করতেন। সেখানে লোকজনদের তার আয়ত্বে নিয়ে প্রতরণার ফাঁদে ফেলতেন ওই নারী। কেউ অভিযোগ করলেই তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তার প্রতারণার জালে ফেলে অনেককেই নি:স্ব করেছে এই নারী। কেউ কেউ সামাজিকভাবে সুনামক্ষুন্ন হয়েছেন। আবার অনেকে মামলায় আক্রান্ত হয়ে হয়রানি হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশের সাথে এই নারীর রয়েছে সখ্যতা। স্থানীয় পুলিশের এক র্শীষ কর্মকর্তার সাথে রয়েছে তার রমরমা সম্পর্ক। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়েও প্রতারণার ফাঁদ পাতেন এই নারী।
তবে রহস্যময়ী এই নারী সম্পর্কে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না। তার বিরুদ্ধে ডজন ডজন অভিযোগ থাকলেও তিনি কোথায় আছেন এই তথ্য নেই কারো কাছে। পুতুলকে সবাই চিনেন কিন্তু বিস্তারিত জানতে চাইলে তার সম্পর্কে কোন কিছুই বলতে পারেন না। রহস্যময়ি নারী পতুলের বিয়ে নিয়েও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। জীবনের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস-এক সদস্যয়ের সাথে প্রথমে বিয়ে হয় তার। এরপর সোনাগাঁওয়ে মাসুদ, পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুমন, আশুগঞ্জে আকতার এবং মজিদের সাথে বিয়ে হয়েছে বলেও জানা যায়। তবে কারও সাথে বিয়ে টিকেনি তার। জানা গেছে, স্বামী নামধারী ওই যুবকদের মামলা দিয়ে জর্জরিত করে রেখেছেন তিনি।
অভিযুক্ত সেতারা পারভিন পুতুলের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করেও তার সঠিক ঠিকানা ও ফোন নাম্বার না পাওয়ার কারণে তাকে পাওয়া যায়নি।






Shares