Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচন, দুই দিন ধরে নিখোঁজ আসিফ

+100%-

গত দুদিন ধরে খোঁজ মিলছেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের। রোববার (২৯ জানুয়ারি) আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা ব্রাহ্মণবাড়িয়াটুয়েন্টিফোরডটকমের কাছে এ তথ্য জানান।

আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক বিএনপি নেতা এবং ওই আসন থেকে পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। শুক্রবার দিনগত সন্ধ্যার পর থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন।

আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আসিফকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ আছে। তিনি কোথায় এবং কী অবস্থায় আছে তা বুঝতে পারছি না। প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি করে হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা যাওয়া করছে। এখন নির্বাচনে যে ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট দেবো, তাও খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ সবাইকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি নিজেই পালিয়ে ছিলাম। আজকের মধ্যে খোঁজ না পেলে রাতেই একটা কিছু করবো।’

তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ‘বাসায় কোনো লোক আসতে পারে না। কয়েকজন লোক বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কাজের লোক এলেও ছবি তুলে রাখে, ভিডিও করে রাখে। এভাবে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। তারা একজনকে জেতাবে এটি আগেই বললেই তো পারতেন। কেন আমাদের এত টাকা খরচ করালো?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আবু আসিফ আহমেদের পরিবার থেকে এমন কোনো বিষয়ে লিখিত দেওয়া হয়নি। তার বাড়ির সামনে যে লোকজনের ছবি তোলার কথা বলা হচ্ছে, তা আমদের জানা নাই। অন্য কোনো সংস্থার লোকজন হতে পারে।

এর আগে বুধবার আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মুসা মিয়া (৮০) নামের এক বৃদ্ধকে হামলা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর মুসা মিয়ার বড় মেয়ে ফাতেমা বেগম বলেছিলেন, ‘আব্বা থেকে দুতলায় আর নিচে আমাদের ব্যবসার আড়তের গদিঘর। রাতে দুটি গাড়িতে লোকেএসে আব্বার ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়। আমরা পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা পুলিশ পরিচয় দেন। তাদের গায়ে জ্যাকেট ছিল এবং তারা যে গাড়ি দিয়ে এসেছিল তাতে ডিবি লেখা ছিল। আব্বার সঙ্গে কথা আছে বলে নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে বাবাকে পাইনি। শহরে এসে ডিবি অফিসেও পাইনি। বেলা ১১টায় জানতে পারি আব্বাকে দূর্গাপুর গ্রামের মারামারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমার আব্বা বয়স্ক মানুষ। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। আসিফ আংকেলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক বলে উনার নির্বাচন করছেন।’

১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত পাঁচবারের সাবেক সাংসদ আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাষানী, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। এদের মধ্যে জিয়াউল হক মৃধা প্রতীক বরাদ্দের পর বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।






Shares