Main Menu

সরাইলে নিরাপত্তা চেয়ে মামলা করায় আসামি পক্ষের হামলায় বাদীসহ ৮ জন আহত

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল:: সরাইলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি ও মামলা দায়ের করায় আসামি এবং তাদের লোকজনের হামলায় একই পরিবারের আট নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মালিগাঁও  গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের জুরু মিয়ার (৫০) মেয়ে শিরিনা বেগমের (৩২) সাথে ১৪ বছর আগে একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের (৩৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিল্লাল  বিদেশ থেকে তাঁর স্ত্রীর নামে টাকা পাঠিয়ে আসছিলেন। কয়েক মাস ধরে শিরিন পার্শবর্তী নতুন হাবেলিপাড়া গ্রামের ফায়জুল মিয়ার (৩৫)সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ জন্য  গত দুই মাস ধরে বিল্লাল তাঁর স্ত্রীর পরিবর্তে বড় ভাই দুলাল মিয়ার (৪৬) নামে টাকা পাঠাচ্ছেন। এনিয়ে জুরু মিয়ার সাথে বিল্লালের পরিবারের লোকজনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ৩০ জানুয়ারি দুলাল মিয়া  নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন। এর জের ধরে ১১ ফেব্র“য়ারি জুরু মিয়া ও তাঁর লোকজন বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে ঢুকে ছোট বোন সোহেদা বেগমকে (৩০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পর দিনে দুলাল মিয়া বাদী হয়ে জুরু মিয়াকে প্রধান আসামি করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।  দুলাল মিয়ার অভিযোগ মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পক্ষের লোকজন তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করার জন্য প্রকাশ্যে লাঠিসোটা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। পুলিশ বিষয়টি আমলে নেইনি। প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। এ জন্য জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে  গত সোমবার (২৩-০২-১৫) বিকেলে দুলাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায়ও জুরু মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে দিনভর মহড়া দিতে থাকে। ভয়ে দুলাল মিয়া দিনভর থানায় অবস্থান করে পুলিশের সাহায্য চান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দুলালের বাড়িতে ঢুকে তার ছেলে রবি আউয়াল (২২), ছোট ভাই মিলন মিয়া (২২) ও হিরন মিয়াকে (১৫) মারধর করতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাদেরকে রক্ষা করতে দুলাল ও অপর ছোট ভাই সোহাগ মিয়া (২৩), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৩) সৎ মা সাজু বেগম (৪৫), ও চাচাত ভাই বাবুল মিয়া (২০) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের মধ্যে সাজু বেগম, ফাতেমা বেগম ও মিলন মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে এবং দুলাল মিয়াসহ অন্যদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনায় দুলাল মিয়া বাদী হয়ে ফাইজুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সরাইল থানার এস আই আব্দুল আউয়াল বলেন, জুরু মিয়া দুষ্ট প্রকৃতির লোক। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। দুলাল মিয়া নিরাপত্তার জন্য বার বার থানায় আসলেও তাকে রক্ষার জন্য কেন আসামিদের গ্রেপ্তার করেননি, আসামিরা দিনভর লাঠিসোটা নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল আউয়াল বলেন উপজেলা পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধির চাপে আসামি ধরিনি। তিনি কথা দিয়েছিলেন বিষয়টি নিস্পত্তি করে দিবেন।






Shares