Main Menu

সরাইলে সাবেক চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত আসামী আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মলাইশ বাজার থেকে সরাইল থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ কবিরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।  মিথ্যা আশ্বাসে যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেন্টুর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আট হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সেন্টু।

 

মামলা ও মামলার আদেশ সূত্রে জানা যায়, সেন্টু শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ গ্রামের বিনোদ বিহারী দাসের ছেলে।  সেন্টু এবং বাদীনি ভেলা চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) একই গ্রামের বাসিন্ধা। ভেলার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় সেন্টু। বাদীনির স্বামী অদ্বৈত চৌধুরী একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে ১৯৮৩ সালে মারা যান। সুযোগে সেন্টু বাদীনির ঘরে যাওয়া আসা করতো। খোঁজ খবর নিত। কন্যা সন্তানকে সুখে রাখার কথা বলে বাদীনিকে ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় সেন্টু। গত ১৩৯৯ বাংলা সনের ৪ মাঘ রাত ১২টায় বাদীনির বসত ঘরে চন্দ্র সূর্য ও দেবতাকে স্বাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে। কোন সামাজিকতা বা কাগজপত্র হয়নি। এরপর থেকে বাদীনির সাথে নিয়মিত যৌন সঙ্গম ঘটিয়ে অন্তঃসত্বা করে ফেলে। বিষয়টি বাদীনি সেন্টুকে জানায়। সেন্টু অরবিন্দু গোস্বামীর পরামর্শে জেলা সদরে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বাদীনিকে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। ১৪০০ বাংলা সনের ১২ শ্রাবণ বুধবার রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেন্টু ও তার কয়েক জন সহযোগী মিলে ওই মহিলাকে সোনাবাসী দাসের বাড়িতে রাখেন। সেন্টু জোর পূর্বক বাদীনিকে দুইটি ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর বাদীনি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন। পরে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এক সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোর বেলা জ্ঞান ফিরলে সেন্টু বাদীনিকে জানায় তার সদ্যজাত সন্তানটি মারা গেছে। সৎকারের কাজও শেষ করা হয়েছে। কৌশলে বাদীনি সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের শরনাপন্ন হয়। সেইদিন মামলা নেয়নি পুলিশ। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বাদীনি। পরে ১৯৯৫ সনের ২২ ফেব্র“য়ারী ওই মহিলা বাদী হয়ে সেন্টুকে প্রধান আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (্মামলা নং-ডি,এম-১২৩/৯৮, সিআর-৬৩/৯৮)। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মামলাটি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে প্রেরণ করা হয়। তদন্ত শেষে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি ডিসমিস করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন বাদীনি। বিজ্ঞ দায়রা জজ প্রথম আদালত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৩, ৩১৮/৩৪ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার আদেশ দেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আসামীকে সাজা প্রদান করেন। আসামী সেন্টু নিম্ন আদালতের রায় রহিত করনের জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে আপীল করেন। আদালত নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হন যে, আসামী সত্যেন্দ্র মোহন বাদীনির সাথে অবৈধ মেলামেশা করায় তিনি গর্ভবতী হন। ফলে গত ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নিম্ন আদালত কর্তৃক রায়ে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও আণীত অভিযোগের ধারা সূক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষন পূর্বক আপীলকারী আসামী সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে দুই বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানাা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন তা আইনসম্মত ও যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ আসামীর আপীলটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। রায় প্রকাশের ত্রিশ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে সাজা ভোগের জন্য আসামীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় প্রকাশের পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আসামী। রায়ের পর পেরিয়ে গেছে এক বছর। সাজাপ্রাপ্ত সেন্টু বিভিন্ন কৌশলে এতদিন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন,  অনেক চেষ্টার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেন্টুকে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মলাইশ বাজার থেকে সরাইল থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ কবিরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।  মিথ্যা আশ্বাসে যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেন্টুর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আট হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সেন্টু। মামলা ও মামলার আদেশ সূত্রে জানা যায়, সেন্টু শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ গ্রামের বিনোদ বিহারী দাসের ছেলে।  সেন্টু এবং বাদীনি ভেলা চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) একই গ্রামের বাসিন্ধা। ভেলার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় সেন্টু। বাদীনির স্বামী অদ্বৈত চৌধুরী একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে ১৯৮৩ সালে মারা যান। সুযোগে সেন্টু বাদীনির ঘরে যাওয়া আসা করতো। খোঁজ খবর নিত। কন্যা সন্তানকে সুখে রাখার কথা বলে বাদীনিকে ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় সেন্টু। গত ১৩৯৯ বাংলা সনের ৪ মাঘ রাত ১২টায় বাদীনির বসত ঘরে চন্দ্র সূর্য ও দেবতাকে স্বাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে। কোন সামাজিকতা বা কাগজপত্র হয়নি। এরপর থেকে বাদীনির সাথে নিয়মিত যৌন সঙ্গম ঘটিয়ে অন্তঃসত্বা করে ফেলে। বিষয়টি বাদীনি সেন্টুকে জানায়। সেন্টু অরবিন্দু গোস্বামীর পরামর্শে জেলা সদরে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বাদীনিকে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। ১৪০০ বাংলা সনের ১২ শ্রাবণ বুধবার রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেন্টু ও তার কয়েক জন সহযোগী মিলে ওই মহিলাকে সোনাবাসী দাসের বাড়িতে রাখেন। সেন্টু জোর পূর্বক বাদীনিকে দুইটি ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর বাদীনি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন। পরে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এক সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোর বেলা জ্ঞান ফিরলে সেন্টু বাদীনিকে জানায় তার সদ্যজাত সন্তানটি মারা গেছে। সৎকারের কাজও শেষ করা হয়েছে। কৌশলে বাদীনি সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের শরনাপন্ন হয়। সেইদিন মামলা নেয়নি পুলিশ। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বাদীনি। পরে ১৯৯৫ সনের ২২ ফেব্র“য়ারী ওই মহিলা বাদী হয়ে সেন্টুকে প্রধান আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (্মামলা নং-ডি,এম-১২৩/৯৮, সিআর-৬৩/৯৮)। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মামলাটি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে প্রেরণ করা হয়। তদন্ত শেষে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি ডিসমিস করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন বাদীনি। বিজ্ঞ দায়রা জজ প্রথম আদালত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৩, ৩১৮/৩৪ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার আদেশ দেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আসামীকে সাজা প্রদান করেন। আসামী সেন্টু নিম্ন আদালতের রায় রহিত করনের জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে আপীল করেন। আদালত নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হন যে, আসামী সত্যেন্দ্র মোহন বাদীনির সাথে অবৈধ মেলামেশা করায় তিনি গর্ভবতী হন। ফলে গত ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নিম্ন আদালত কর্তৃক রায়ে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও আণীত অভিযোগের ধারা সূক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষন পূর্বক আপীলকারী আসামী সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে দুই বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানাা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন তা আইনসম্মত ও যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ আসামীর আপীলটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। রায় প্রকাশের ত্রিশ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে সাজা ভোগের জন্য আসামীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় প্রকাশের পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আসামী। রায়ের পর পেরিয়ে গেছে এক বছর। সাজাপ্রাপ্ত সেন্টু বিভিন্ন কৌশলে এতদিন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন,  অনেক চেষ্টার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেন্টুকে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মলাইশ বাজার থেকে সরাইল থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ কবিরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।  মিথ্যা আশ্বাসে যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেন্টুর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আট হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সেন্টু।

মামলা ও মামলার আদেশ সূত্রে জানা যায়, সেন্টু শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ গ্রামের বিনোদ বিহারী দাসের ছেলে।  সেন্টু এবং বাদীনি ভেলা চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) একই গ্রামের বাসিন্ধা। ভেলার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় সেন্টু। বাদীনির স্বামী অদ্বৈত চৌধুরী একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে ১৯৮৩ সালে মারা যান। সুযোগে সেন্টু বাদীনির ঘরে যাওয়া আসা করতো। খোঁজ খবর নিত। কন্যা সন্তানকে সুখে রাখার কথা বলে বাদীনিকে ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় সেন্টু। গত ১৩৯৯ বাংলা সনের ৪ মাঘ রাত ১২টায় বাদীনির বসত ঘরে চন্দ্র সূর্য ও দেবতাকে স্বাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে। কোন সামাজিকতা বা কাগজপত্র হয়নি। এরপর থেকে বাদীনির সাথে নিয়মিত যৌন সঙ্গম ঘটিয়ে অন্তঃসত্বা করে ফেলে। বিষয়টি বাদীনি সেন্টুকে জানায়। সেন্টু অরবিন্দু গোস্বামীর পরামর্শে জেলা সদরে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বাদীনিকে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। ১৪০০ বাংলা সনের ১২ শ্রাবণ বুধবার রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেন্টু ও তার কয়েক জন সহযোগী মিলে ওই মহিলাকে সোনাবাসী দাসের বাড়িতে রাখেন। সেন্টু জোর পূর্বক বাদীনিকে দুইটি ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর বাদীনি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন। পরে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এক সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোর বেলা জ্ঞান ফিরলে সেন্টু বাদীনিকে জানায় তার সদ্যজাত সন্তানটি মারা গেছে। সৎকারের কাজও শেষ করা হয়েছে। কৌশলে বাদীনি সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের শরনাপন্ন হয়। সেইদিন মামলা নেয়নি পুলিশ। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বাদীনি। পরে ১৯৯৫ সনের ২২ ফেব্র“য়ারী ওই মহিলা বাদী হয়ে সেন্টুকে প্রধান আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (্মামলা নং-ডি,এম-১২৩/৯৮, সিআর-৬৩/৯৮)। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মামলাটি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে প্রেরণ করা হয়। তদন্ত শেষে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি ডিসমিস করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন বাদীনি। বিজ্ঞ দায়রা জজ প্রথম আদালত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৩, ৩১৮/৩৪ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার আদেশ দেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আসামীকে সাজা প্রদান করেন। আসামী সেন্টু নিম্ন আদালতের রায় রহিত করনের জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে আপীল করেন। আদালত নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হন যে, আসামী সত্যেন্দ্র মোহন বাদীনির সাথে অবৈধ মেলামেশা করায় তিনি গর্ভবতী হন। ফলে গত ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নিম্ন আদালত কর্তৃক রায়ে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও আণীত অভিযোগের ধারা সূক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষন পূর্বক আপীলকারী আসামী সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে দুই বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানাা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন তা আইনসম্মত ও যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ আসামীর আপীলটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। রায় প্রকাশের ত্রিশ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে সাজা ভোগের জন্য আসামীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় প্রকাশের পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আসামী। রায়ের পর পেরিয়ে গেছে এক বছর। সাজাপ্রাপ্ত সেন্টু বিভিন্ন কৌশলে এতদিন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন,  অনেক চেষ্টার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেন্টুকে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মলাইশ বাজার থেকে সরাইল থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ কবিরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।  মিথ্যা আশ্বাসে যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেন্টুর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আট হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সেন্টু।

মামলা ও মামলার আদেশ সূত্রে জানা যায়, সেন্টু শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ গ্রামের বিনোদ বিহারী দাসের ছেলে।  সেন্টু এবং বাদীনি ভেলা চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) একই গ্রামের বাসিন্ধা। ভেলার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় সেন্টু। বাদীনির স্বামী অদ্বৈত চৌধুরী একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে ১৯৮৩ সালে মারা যান। সুযোগে সেন্টু বাদীনির ঘরে যাওয়া আসা করতো। খোঁজ খবর নিত। কন্যা সন্তানকে সুখে রাখার কথা বলে বাদীনিকে ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় সেন্টু। গত ১৩৯৯ বাংলা সনের ৪ মাঘ রাত ১২টায় বাদীনির বসত ঘরে চন্দ্র সূর্য ও দেবতাকে স্বাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে। কোন সামাজিকতা বা কাগজপত্র হয়নি। এরপর থেকে বাদীনির সাথে নিয়মিত যৌন সঙ্গম ঘটিয়ে অন্তঃসত্বা করে ফেলে। বিষয়টি বাদীনি সেন্টুকে জানায়। সেন্টু অরবিন্দু গোস্বামীর পরামর্শে জেলা সদরে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বাদীনিকে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। ১৪০০ বাংলা সনের ১২ শ্রাবণ বুধবার রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেন্টু ও তার কয়েক জন সহযোগী মিলে ওই মহিলাকে সোনাবাসী দাসের বাড়িতে রাখেন। সেন্টু জোর পূর্বক বাদীনিকে দুইটি ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর বাদীনি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন। পরে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এক সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোর বেলা জ্ঞান ফিরলে সেন্টু বাদীনিকে জানায় তার সদ্যজাত সন্তানটি মারা গেছে। সৎকারের কাজও শেষ করা হয়েছে। কৌশলে বাদীনি সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের শরনাপন্ন হয়। সেইদিন মামলা নেয়নি পুলিশ। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বাদীনি। পরে ১৯৯৫ সনের ২২ ফেব্র“য়ারী ওই মহিলা বাদী হয়ে সেন্টুকে প্রধান আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (্মামলা নং-ডি,এম-১২৩/৯৮, সিআর-৬৩/৯৮)। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মামলাটি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে প্রেরণ করা হয়। তদন্ত শেষে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি ডিসমিস করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন বাদীনি। বিজ্ঞ দায়রা জজ প্রথম আদালত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৩, ৩১৮/৩৪ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার আদেশ দেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আসামীকে সাজা প্রদান করেন। আসামী সেন্টু নিম্ন আদালতের রায় রহিত করনের জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে আপীল করেন। আদালত নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হন যে, আসামী সত্যেন্দ্র মোহন বাদীনির সাথে অবৈধ মেলামেশা করায় তিনি গর্ভবতী হন। ফলে গত ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নিম্ন আদালত কর্তৃক রায়ে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও আণীত অভিযোগের ধারা সূক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষন পূর্বক আপীলকারী আসামী সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে দুই বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানাা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন তা আইনসম্মত ও যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ আসামীর আপীলটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। রায় প্রকাশের ত্রিশ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে সাজা ভোগের জন্য আসামীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় প্রকাশের পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আসামী। রায়ের পর পেরিয়ে গেছে এক বছর। সাজাপ্রাপ্ত সেন্টু বিভিন্ন কৌশলে এতদিন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন,  অনেক চেষ্টার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেন্টুকে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মলাইশ বাজার থেকে সরাইল থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ কবিরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।  মিথ্যা আশ্বাসে যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেন্টুর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আট হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সেন্টু।

মামলা ও মামলার আদেশ সূত্রে জানা যায়, সেন্টু শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ গ্রামের বিনোদ বিহারী দাসের ছেলে।  সেন্টু এবং বাদীনি ভেলা চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) একই গ্রামের বাসিন্ধা। ভেলার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় সেন্টু। বাদীনির স্বামী অদ্বৈত চৌধুরী একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে ১৯৮৩ সালে মারা যান। সুযোগে সেন্টু বাদীনির ঘরে যাওয়া আসা করতো। খোঁজ খবর নিত। কন্যা সন্তানকে সুখে রাখার কথা বলে বাদীনিকে ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় সেন্টু। গত ১৩৯৯ বাংলা সনের ৪ মাঘ রাত ১২টায় বাদীনির বসত ঘরে চন্দ্র সূর্য ও দেবতাকে স্বাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে। কোন সামাজিকতা বা কাগজপত্র হয়নি। এরপর থেকে বাদীনির সাথে নিয়মিত যৌন সঙ্গম ঘটিয়ে অন্তঃসত্বা করে ফেলে। বিষয়টি বাদীনি সেন্টুকে জানায়। সেন্টু অরবিন্দু গোস্বামীর পরামর্শে জেলা সদরে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বাদীনিকে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। ১৪০০ বাংলা সনের ১২ শ্রাবণ বুধবার রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেন্টু ও তার কয়েক জন সহযোগী মিলে ওই মহিলাকে সোনাবাসী দাসের বাড়িতে রাখেন। সেন্টু জোর পূর্বক বাদীনিকে দুইটি ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর বাদীনি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন। পরে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এক সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোর বেলা জ্ঞান ফিরলে সেন্টু বাদীনিকে জানায় তার সদ্যজাত সন্তানটি মারা গেছে। সৎকারের কাজও শেষ করা হয়েছে। কৌশলে বাদীনি সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের শরনাপন্ন হয়। সেইদিন মামলা নেয়নি পুলিশ। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বাদীনি। পরে ১৯৯৫ সনের ২২ ফেব্র“য়ারী ওই মহিলা বাদী হয়ে সেন্টুকে প্রধান আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (্মামলা নং-ডি,এম-১২৩/৯৮, সিআর-৬৩/৯৮)। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মামলাটি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে প্রেরণ করা হয়। তদন্ত শেষে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি ডিসমিস করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন বাদীনি। বিজ্ঞ দায়রা জজ প্রথম আদালত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৩, ৩১৮/৩৪ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার আদেশ দেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আসামীকে সাজা প্রদান করেন। আসামী সেন্টু নিম্ন আদালতের রায় রহিত করনের জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে আপীল করেন। আদালত নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হন যে, আসামী সত্যেন্দ্র মোহন বাদীনির সাথে অবৈধ মেলামেশা করায় তিনি গর্ভবতী হন। ফলে গত ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নিম্ন আদালত কর্তৃক রায়ে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও আণীত অভিযোগের ধারা সূক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষন পূর্বক আপীলকারী আসামী সত্যেন্দ্র মোহন সরকার সেন্টুকে দুই বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানাা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন তা আইনসম্মত ও যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ আসামীর আপীলটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। রায় প্রকাশের ত্রিশ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে সাজা ভোগের জন্য আসামীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় প্রকাশের পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আসামী। রায়ের পর পেরিয়ে গেছে এক বছর। সাজাপ্রাপ্ত সেন্টু বিভিন্ন কৌশলে এতদিন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন,  অনেক চেষ্টার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেন্টুকে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares