Main Menu

সরাইলে ডাকাতির টাকা বন্টন নিয়ে রামদা যুদ্ধ ছয় ডাকাতসহ আহত ১০ জন

+100%-
প্রতিনিধিঃ সরাইল- নাসিরনগর- লাখাই সড়কে রাতভর ডাকাতি শেষে নিজেদের মধ্যে টাকা বন্টনের সময় রামদা যুদ্ধে লিপ্ত হয় ডাকাতরা। এতে ছয় ডাকাত গুরুতর আহত হয়। গত সোমবার গভীর রাতে কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডাকাতরা প্রত্যেকেই ধর্মতীর্থ গ্রামের বাসিন্ধা। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ধর্মতীর্থ গ্রামের আসমত আলী (২৮), ইদ্রিস (২৮), বিল্লাল (২৫) ও ইসলামাবাদ গ্রামের লিটন (২৫) সহ ছয় ডাকাত গত সোমবার রাতভর সরাইল- নাসিরনগর সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করে। এরা প্রত্যেকেই আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা একে অপরের আত্মীয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গতকাল ভোরে ডাকাতির টাকা বন্টনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রামদা ও চাপাটি যুদ্ধে লিপ্ত হয় ডাকাতরা। যুদ্ধে ছয় ডাকাতই গুরুতর আহত হয়। তবে আহত দুই ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ডাকাতদের আর্তচিৎকারে ডাকাত আসমতের মা বাবা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তাদেরকে  কূপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এক সময় তাড়াহুড়া করে তাদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। সিএনজি নং- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-থ-১১-১০১২, নাম -“ মা বাবার দোয়া”। পুলিশ সিএনজি টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। আহত ডাকাত আসমত, তার বাবা কাছম আলী (৪৮)ও প্রতিবেশী আলম (২৬) ও সজিব (২৫) কে পুলিশ সরাইল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘন্টা খানেক পর সকলেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সিএনজি’র মালিক সদর উপজেলার ঘাটুরার বাসিন্ধা হাজী মোঃ আরমান জানান, গাড়িটি ২৪ ঘন্টা ইদ্রিসের কাছেই থাকে। সরাইল থানার এ এস আই ইসমাইল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাকাত ইদ্রিসের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্যদের কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গতঃ সরাইল- নাসিনগর সড়ক এখন ডাকাতদের দখলে। সন্ধার পর এ সড়কে ডাকাতি যেন নিত্যদিনের বিষয়। মাগরিবের পর এ সড়ক দিয়ে কেউ যেতে চায় না। ভোর বেলা ও ডাকাতি হয় এখানে। আবার সীমানা নিয়ে ও দুই থানার মধ্যে চলে টানা খেচরা। লাশবাহী গাড়ি ও বাঁচতে পারে না ডাকাতি থেকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিকাংশ ডাকাতের বাড়ি কালিকচ্ছ, ধর্মতীর্থ ও কদমতুলি গ্রামে। তারা থাকে জেলা শহরে ভাড়া বাসায়। রাতে বাহিরের ৩/৪ জন ডাকাত নিয়ে আসে এখানে। তাদের পেছনে রয়েছে এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা ডাকাতদের থানা পুলিশ ও জেলখানা থেকে বের করার দায়িত্ব পালন করেন। বিনিময়ে ডাকাতির একটা বড় অংশ যায় প্রভাবশালীদের পকেটে। ডাকাতি করা মোবাইল সেট অনেক সর্দারের হাতে রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় অনেক দেনদরবার হয়েছে।






Shares