Main Menu

ঢাকা বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সরাইলের একই পরিবারের ৫ জন নিহত

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর খন্দকার পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা
ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার, তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, বড় মেয়ে সৈয়দ কাশফিয়া (১৮) দ্বিতীয় মেয়ে সৈয়দ নূর (১৪) একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ(৭)। তারা ঢাকার ওই ভবনের একটি হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিল।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৪২) দীর্ঘদিন ইতালিতে ব্যবসা করতেন। মাসখানেক আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন। ইতালিতে স্থায়ীভাবে (গ্রিন কার্ড) থাকার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি স্ত্রী ও তিন সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভিসাও হয়ে গিয়েছিল সবার। কিন্তু ইতালি আর যাওয়া হলো না তাদের। বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন মোবারক।

নিহতের ফুফাত ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, প্রায় বিশ বছর যাবৎ কাউছার ইতালি প্রবাসী। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি দেশে আসেন,  ইতালিতে ব্যবসা করতেন তিনি। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। চলতি মাসের মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানদের ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ।

নিহতের আরেক চাচাতো ভাই ফয়সাল বলেন, ‘পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল । ঢাকার মধুবাগে তারা বসবাস করতেন।

নিহতের মা হেলেনা বেগম জানায়, ঢাকা থেকে আজকে সবাই বাড়িতে আসার কথা ছিল, এখন লাশ হয়ে বাড়ি আসছে। ঢাকা থেকে মরদেহ নিয়ে রওনা হয়েছে, বাদ আছর নিহতদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। আমার ছেলেসহ পুরো পরিবার আগুনে পড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমি বেঁচে থেকে আর কী করবো। আমার ছেলে রেখে আল্লা আমারে নিয়ে যাইত। আমি এই শোক সইব কী করে।

একই পরিবারের পাঁচ সদসের মৃত্যতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উল্লেখ্য:বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আরও ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়জন নারী, পুরুষ কিংবা শিশু তা এখনও জানার চেষ্টা চলছে। রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।






Shares