Main Menu

সরাইলে মেঘনায় নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পানিশ্বর বাজার। বিলীন ৬ বসতবাড়ী ১ মিল। হুমকির মুখে ৪শত পরিবার

+100%-

sarail pic 30মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে॥ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ৬টি বসতবাড়ী ও ১টি অটোরাইস মিল। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯টি বাড়ি। হুমকির মুখে দিনযাপন করছে ৪শতাধিক পরিবার।

সরেজমিনে গতকাল শনিবার উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পানিশ্বর গ্রামে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে নদী ভাঙ্গনের এ চিত্র দেখা যায়। মেঘনা নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধিতে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

Sarail(meghna ) pic 30-07-16

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধি ও ঢেউয়ের তোড়ে মেঘনার তীরবর্তী শাখাইতি গ্রামে ভাঙ্গন শুরু হয়। সেই ভাঙ্গন আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত হানে। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই শাখাইতি গ্রামের মেঘনায় বিলীন হয়ে যায় চান মিয়া, মো: ইদু মিয়া, মো: আব্দুর রহিম, আবু আহাম্মদ, মো: জাকির মিয়া ও মো: নূরুল ইসলামের বসতবাড়ি। ঘরে রক্ষিত সব মালামালও চলে যায় নদীতে। তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে। কিছুই করার ছিল না। পানির ঢেউয়ের শব্দ ও ওই পরিবারের সদস্যদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে। একই সময়ে দ্রুত আংশিক ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে লায়েছ মিয়া, মো: দারু মিয়া, মো: আব্দুল আওয়াল, মো: সুফি মিয়া ও মো: জুরু মিয়ার বসতবাড়ি। এছাড়া স্থানীয় বৈশাখী অটোরাইছ মিলের অর্ধেকরও বেশী অংশ গিলে ফেলেছে মেঘনা। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে অন্যান্য অটোরাইছ মিলসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেঘনায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় সাবেক মেম্বার মোস্তফা মিয়া ও বর্তমান মেম্বার সুমন মিয়া বলেন কালাসূতা খাল হতে বোয়ালিয়া খাল পর্যন্ত বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হলে মেঘনার ভাঙ্গনের কবল হইতে পানিশ্বর এলাকাকে রক্ষা করা যাবে।

ভাঙ্গন কবল এলাকা পরিদর্শনে গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬টি পরিবারকে নগদ ২হাজার টাকা করে দিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষনা দেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অসহায় লোকদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।






Shares