Main Menu

সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-ভূমিদস্যুদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা-মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “জনগণের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি” অনুষ্ঠান

প্রতিনিধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা পৌর মিলনায়তনে  সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে জনগণের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সনাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনতার মুখোমুখী অনুষ্ঠানে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রতিশ্রুতি  দেওয়া আমি বিশ্বাস করিনা, জনগনের জন্য কাজ করতেই পছন্দ করি। দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমি  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কি উন্নয়ন করেছি কি করিনি তার বিচারের ভার আপনাদের উপর দিয়ে দিলাম।
তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করছিনা আমার দলে সন্ত্রাসী নেই। ‘আমার দলেও সন্ত্রাসী আছে। তাদের গডফাদারও আছে। কিন্তু আমি তাদেরকে ধরতে পারছি না। তাদের বিষয়ে প্রমাণ পেলে দল থেকে বের করে দেব। এমনকি আমার পাশেও যদি কোনো সন্ত্রাসী থাকে, তাকে  যদি আইন শৃংখলা বাহিনী ধরে  যায়, আমি কোন বাঁধা দেব না। তিনি বলেন,
মুখোমুখী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘পৌর এলাকায় শিশু পার্ক করার বিষয়ে জোর চেষ্টা চলছে। এছাড়াও তিতাস পূর্বাঞ্চলে আরেকটি শিশু পার্ক করা হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাস্তা) নির্মানের কাজ শেষ হলে তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে শহর সম্প্রসারিত করা হবে। সেই লক্ষেই আমরা কাজ করছি। অন্য জনপ্রতিনিধিদেরকেও বলব পূর্বাঞ্চলে যেন পরিকল্পিত শহর গড়ে উঠে।
সংসদ সদস্য জানান, জমি ও ডিজাইন সংক্রান্ত জটিলতায় শহরের ফ্লাইওভারের কাজ পিছিয়ে গেছে। এখন নতুন ডিজাইন হওয়ায় খ্রিস্টানদের মিশন ও হিন্দুদের কালীবাড়ি রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি জমিও কম লাগবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টিআইবি’র সিনিয়র প্রোগাম ম্যানেজার মো. হাসান আলী। পরিচালনা করেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু।
প্রশ্নত্তোর পর্বে অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামাল খান, বিশিষ্ট ঠিকাদার মুখলেছুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আওয়াল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত,  সাংবাদিক মুখলেছুর রহমান জীবন,  জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী অ্যাডঃ লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া, নারী নেত্রী সাথী চৌধুরী, নাসরিন হাওলাদার শিশির, ছাত্রনেতা মিনহাজ মামুন, এনজিও নেতা আজিজুর রহমান, খাদেম হোসেন খোকন, রেফাতুল ইসলাম উদয় প্রমুখ।






Shares