Main Menu

ভূবন মঙ্গল কীর্তন একদিন বৃদ্ধি ॥ সমাপনী রোববার

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির উদ্যোগে বিগত ৬৪ বছরের ধারাবাহিকতায় জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায় শহরের হালদার পাড়ায় অবস্থিত আনন্দময়ী কালীবাড়ীতে চলমান এবারের ৬৫তম বার্ষিক সনাতন ধর্মীয় উৎসবের অষ্টম দিন অতিবাহিত হয়েছে।

প্রথমদিন রাত ৮টায় গৌর আহবানের মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু হয়। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা হতে নাট মন্দিরে শুরু হয় শ্রীমদ্ভগবৎ গীতাপাঠ ও ধর্মীয় আলোচনা, তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন।

সপ্তমদিন গত বৃহস্পতিবার উদয়াস্ত তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন এবং সন্ধ্যায় শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনা শেষে সমাগত সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে ৬৫ বছর আগে জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায় এই কালিবাড়ীতে সনাতন ধর্মীয় উৎসব শুরুর প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুভাষ পাল, সাধারণ সম্পাদক আশিষ পাল এবং যুগ্ম সম্পাদক পরিতোষ রায়।

তারা বক্তব্যে শৃংখলা বজায় রেখে উৎসব উদযাপনে আন্তরিক সহযোগিতা করায় সমাগত ভক্তবৃন্দ, প্রশাসনের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকগণ ও সমিতির সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতাসহ তাদের ধন্যবাদ জানান। পরে মধ্যরাত পর্যন্ত নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস পরিবেশিত হয়।

কমিটির পরিবর্তিত কর্মসূচী অনুসারে  শুক্রবার হতে ষোল প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন শুরু হয়েছে। যা আজ শনিবারও পরিবেশিত হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থান হতে আগত সম্মানীত পাঠকবৃন্দ শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা পাঠ এবং কীর্তনীয়া দলসমূহ নাম সংকীর্তন পরিবেশন করেন।

একাদশীর কারণে কর্মসূচী একদিন বৃদ্ধি করে রোববার ভোরে নগর কীর্তন, দধিমঙ্গল, দ্বি- প্রহরে মহাপ্রভুর ভোগরাগ এবং দুপুর ২টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মহাপ্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।

সমিতির সভাপতি সুভাষ পাল ও সাধারণ সম্পাদক আশিষ পাল উক্ত কর্মসূচী সমূহে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেছেন।






Shares