Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত জনসমুক্ষে পাচঁ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি

+100%-


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিজিবি কর্তৃক উদ্ধারকৃত পাচঁ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় জব্দকৃত আলামত শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্কুল মাঠে ধ্বংস করা হয়। ২৫ ও ৬০ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিন গত একবছরে সীমান্ত এলাকা থেকে এসব মাদকদ্রব্য আটক করে। ধ্বংসকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ৫ কোটি ১৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৪৫ টাকা।

মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া ৩ আসনের সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।


এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মোঃ আহসানুজ্জামান, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, ২৫বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ শাহ আলী, ৬০বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জাহিদুর রহমান, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার সহ সরকারী ও বেসরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে মাদক হলো সবচেয়ে বড় দুশমন। মানুষের মেধা, বুদ্ধিবৃত্তি ও শারিরিক যে মেধা তা নষ্ট করে দেয় মাদক। আমাদের দেশের যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে বিপথগামী করতে মাদকের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাই বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সরকার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আগের থেকে আরো বেশি শক্তিশালী করেছে। পুলিশ বাহীনির শক্ত অবস্থান রয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে।

মাদকের ব্যবহার রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি মসজিদের ইমাম ও রাজনীতিবিদদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ক সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ সভাপতি বলেন, মাদক বন্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে মসজিদের ইমামরা। তারা নিয়মিত মসজিদে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করলে এর ভাল প্রভাব সমাজে প্রতিফলিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল হয়। বক্তারা যদি মাদকের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করেন তাহলে অনেক লোকজন সচেতন হতে পারবে।

ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় মদ, গাজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।






Shares