Main Menu

শহীদ ভাষা দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী অমর একুশে বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছে:র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

+100%-

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, আমাদের ভাষার সমৃদ্ধি যত বেশী হবে জাতি হিসেবে আমরা তত এগিয়ে যাব। তিনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শহীদ ভাষা দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত  সপ্তাহব্যাপী অমর একুশে বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে তার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছিল। এটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। আলোচনা সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষার বক্তৃতা দিয়ে বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চেয়েছিলাম বলেই এর পথ ধরে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলা ভাষা-ভাষীদের একমাত্র রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা যদি অসম্প্রায়িক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ না হই তাহলে সামনের দিকে এগুতে পারবনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে আন্দোলন শুরু করেছেন। দিন দিন এই আন্দোলনে সমর্থন বাড়ছে। তিনি বলেন, একটি দেশের ভাষার সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক জড়িত। অর্থনীতি সমৃদ্ধ হলে আমাদের ভাষাও সমৃদ্ধ হবে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার গ্রহণ ক্ষমতা অসাধারণ।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), পৌর মেয়র নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম শফিকুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গবেষক মুহম্মদ মুসা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল আলম বাবু।

আলোচনা সভা শেষে মেলায় প্রথম স্থান অর্জনকারী স্টল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি গণগ্রন্থাগার, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মত ও পথ ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী স্টল রহমানিয়া লাইব্রেরীকে পুরষ্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি মোকতাদির চৌধুরী এমপি। সপ্তাহব্যাপী বই মেলায় বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে ২৬টি স্টল বসে। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।






Shares