Main Menu

দুনিয়ার সবচাইতে বড় প্রেসিডেন্ট হাউস- ভারতের রাস্ট্রপতি ভবন- রাইসীনা।

+100%-

ভারতের নতুন রাস্ট্রপতি নির্বাচন চলছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঠিক করেছেন রাজ্যপাল কোবিন্দকে আর কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক স্পীকার মীরা কুমারকে । কোবিন্দই হবেন সেটা বোধহয় বলা যায়। অন্তত আমি হচ্ছিনা সেটা শিউর।

আসুন দেখি নতুন রাস্ট্রপতি যে বাসায় থাকবেন তার কিছু তথ্য জানি।

১৯১১ সালে ভারতে বৃটিশ শাসনকালে ভারতের রাজধানী কোলকাতা থেকে দিল্লীতে নেয়ার সিদ্ধান্ত হল আর তখনই বৃটিশ ভাইসরয়ের একটা প্রাসাদ বানাবার প্রয়োজন অনুভুত হয়। তখন পুরোণো দিল্লির দক্ষিনে একটা নতুন দিল্লী বানানোর পরিকল্পনা নেয়া হল। নতুন দিল্লীর একটা চমৎকার লোকেশনে রাইসীনা আর মালচা নামক গ্রামের এলাকাতে ৪০০০ একর জমি নেয়া হল ঐ প্রাসাদ বানাবার জন্য। ওখানে ৩০০ পরিবার বাস করত তাদের উচ্ছেদ করে অন্য জায়গাতে পুনর্বাসন করা হল।

বৃটিশ স্হপতি এডউইন লেন্ডসিয়ার লুটয়েন ছিলেন ঐ ভবনের স্হপতি।ভাইসরয়ের ভবনটি হবে রাইসীনা নামে একটা পাহাড়ের উপর। এখনো এই ভবনকে রাইসীনা বলা হয়।

লর্ড হার্ডিন্জ

তখন ভাইস রয় ছিলেন লর্ড হার্ডিন্জ। প্রথমে নকশা করা হল ১৩০,০০,০০০ এক কোটি ত্রিশ লাখ বর্গ ফুটের ভবন কিন্তু ভাইসরয়ের বাজেট সংকোচনের কারণে কমিয়ে সাইজটা পঁচাশী লাখ বর্গ ফুটের মধ্যে ডিজাইন করা হয়।

১৯৫০ ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাড ভারতের রাস্ট্রপতি হওয়ার পর ঐ ভবনের নাম করা হয় রাস্ট্রপতি ভবন বা প্রেসিডেন্টস হাউস।
এই বিশাল ভবন নির্মানের চীফ ইন্জিনিয়ার ছিলেন স্যার তেজা সিং মালিক আর ঠিকাদার ছিলেন স্যার শোভা সিং।

এটা বানাতে ৭০ কোটি ইট লাগে আর ৩৫ লাখ বর্গফুট পাথর লাগে। স্টীল খুব বেশী ব্যাবহার হয় নি।

এটাতে ৩৫৫ টি সাজানো বড় সাইজের কামরা আছে

রাস্ট্রপতি ভবন মিউজিয়াম।

ভবনটি বানাতে ১৭ বছর লাগে আর তার ঠিক ১৮ বছর পর ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। ১৯৪৭ থেকে সেখানে গভর্ণর জেনারেলরা থাকতে শুরু করেন।
১৯৫০ সালে ভারত প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় আর তখন থেকে রাস্ট্রপিত সেখানে থাকতে শুরু করেন।

রাস্ট্রপতি ভবনে অনেকগুলো হল আছে তার মধ্যে দরবার হল আর অশোকা হল সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ। দরবার হলে একটি উঁচু চেয়ার আছে রাস্ট্রপতির জণ্য। এটার মাথার উপরে ২ টন ওজনের একটা ঝাড়বাতি আছে। মেঝেতে ইটালিয়ান খয়েরী রংএর মার্বেল পাথর। কলামগুলো জয়সলমীরের হলুদ মার্বেলের তৈরী।

দরবার হলে ৫০০ লোকের বসার জায়গা আছে আর এই হলেই জওহর লাল নেহেরু ১৯৪৫ এর ১৫ই আগস্ট সকাল ৮-৩০ এ ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

মোঘল গার্ডেন

ভবনের ভিতরে চমৎকার আর বিশাল একটা বাগান আছের যার নাম, মোঘল গার্ডেন। এটা জনসাধারণের জন্য প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে খুলে দেয়া হয়। অবশ্য এছাড়াও আরো বাগান আছে।

দরবার হল

ব্যাংকোয়েট হল।

ভবনটি চার তলা

মোট ইট পাথরের ভবনের আয়তন ২ লাখ বর্গ ফুট।

বানানো শুরু হয় ১৯১২ সালে আর শেষ হয় ১৯২৯ সালে।

মোঘল গার্ডেনটি আয়তনে ১৫ একর।

ভবনের মোট কর্মচারীর সংখ্যা ৭৫০ জন, তার মধ্যে ২৪৫ জন রাস্ট্রপতির সচিবালয়ের।

গার্ড পরিবর্তনের দৃশ্য।


রাস্ট্রপতি ভবনের গার্ড পরিবর্তন প্রতি শনিবার হয় আর সেটি একটি মনোরম দৃশ্য আর ঐ দৃস্টিনন্দন দৃশ্য দেখা সকলের জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ ঢুকতে পারেন।

শুধু ঐ রাস্ট্রপতি ভবন রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ভারত সরকার বছরে অন্যুন ১০০ রুপী খরচ করেন।

রাস্ট্রপতি ভবনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বিরিয়ানী খাচ্ছেন?






Shares