তবে কি জয় হবে স্যুট-টাই পড়া সেই বাবুদের !
বিশেষ প্রতিবেদকঃ গত রবিবার প্রথম আলোসহ চারটি দৈনিক পত্রিকার পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক, প্রতিবেদকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা পর থেকে ডেসটিনি স্যুট টাই পড়া বাবুদের সাহস যেন রেড়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডেসটিনি কর্মকর্তা বলেন,‘আমাদের অফিস সময় এখন ১ ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে। এপ্রিল মাসের সকল সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তবে মামলা করাতে আমাদের ডিট্রিবিউটারদের আশার আলো সঞ্চার হয়েছে। ফিরে আসছে চাঙ্গা ভাব. . . . . .।’ এদিকে গতকাল রবিবার প্রথম আলোসহ ৪ টি পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার পর আজকে তাদের পত্রিকাগুলোতে তেমন কোন বিশেষ প্রতিবেদন বা মামলার ব্যাপারে কিছুই লেখেনি তারা। অর্থমন্ত্রী গতকাল একটি বিবৃতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকারী ব্যবস্থা নেয় নি প্রশাসন। মামলার আরজিতে যেসব সংবাদগুলো মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলা হয়,সেগুলো হলঃ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ৩১ মার্চ ‘দেশজুড়ে প্রতারণার ফাঁদ ডেসটিনির’ এবং ‘বৃক্ষরোপণের নামেও অর্থ সংগ্রহ করছে ডেসটিনি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২৯ মার্চ ‘উধাও হয়ে যেতে পারে ডেসটিনি, ডিসিদের ঘুষ দেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য’, ৩০ মার্চ ‘ডেসটিনির বিরুদ্ধে দুদকে নথি উত্থাপন রোববার’ ও ‘উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় গ্রাহকরা সারাদেশে তোলপাড়ঃ যুগান্তরের কপি নিয়ে কাড়াকাড়ি’, ৩১ মার্চ ‘লাইসেন্স বাতিল হতে পারে ডেসটিনির, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্থ পাচারের বিষয়টিও’, ১ এপ্রিল ‘ডেসটিনির গ্রাহকরা দিশেহারা’, ২ এপ্রিল ‘ডেসটিনির সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় ২৭ মার্চ ‘ডেসটিনির আমানত ফিরে পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শঙ্কা’,২৮ মার্চ ‘১ বছরেই ডেসটিনির অনুমোদন ছাড়া ব্যয় ২১২ কোটি টাকা’, ২৯ মার্চ ‘ডেসটিনির সদস্য সংগ্রহ বন্ধের সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের’, ১ এপ্রিল ‘এমএলএম ফাঁদে ৩ কোটি মানুষ’ ও ‘ডেসটিনিকে ধরা হচ্ছে, সরকারের চার সংস্থা তদন্তে মাঠে নামছে’, ‘নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ডেসটিনি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে’, ‘এমএলএমের অবৈধ ব্যাংকিং বন্ধে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরকে চিঠি দেবে সংসদীয় কমিটি’, ‘বিভিন্ন স্থানে ডেসটিনির অফিস বন্ধঃ উৎকণ্ঠায় গ্রাহকেরা’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ৩১ মার্চ ‘দেশজুড়ে ডেসটিনি আতঙ্ক’ এবং ১ এপ্রিল ‘ডেসটিনির অবৈধ ব্যাংকিং ঝুঁকিতে মূলধন বাজার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। তাহলে কি এটাই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে যে এই প্রতিবেদনগুলো মিথ্যা ! তবে কি জয় হবে স্যুট টাই পড়া সেই বাবুদের ! জনমনে এই একটাই প্রশ্ন ? ? |