Main Menu

নবীনগরে ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত ১০, ১০ রাউন্ড গুলি, ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ

+100%-


প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পীডবোটে যাত্রী উঠা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নবীনগর স্পীডবোট ঘাটে স্পীডবোটে যাত্রী উঠা নিয়ে নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মলাই মিয়ার ভাই বিদেশ ফেরত বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে স্পীডবোট মালিক নবীনগর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফ হোসেন ওরফে রুবেলের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বিল্লালের গ্রাম বগডহর ও ছাত্রদল নেতা রুবেলের গ্রাম মাঝিকাড়ার শত শত সশস্ত্র লোক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় লঞ্চঘাট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। মুহূর্তেই আশে পাশের কয়েকশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকজন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের উপর মুহুর্মুহ গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। এসময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সফিউর রহমান ও নবীনগর থানার ওসি আবু জাফরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও ৬ রাউন্ড ক্যাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আনু মিয়া (৪৫), জামাল মিয়া (৩৫) নাজমুল আলম (৩২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক এদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায় প্রেরণ করেন। সংঘর্ষ চলাকালে বগডহর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু সাঈদের  একটি মাইক্রো (নোহা) ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। তবে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৬ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুঁড়তে হয়েছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা করেনি বলে ওসি জানান।






Shares