Main Menu

নবীনগর উপজেলায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ত্রাণের তালিকায় বিত্তবানদের নাম!

+100%-
ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ত্রাণ সহায়তার তালিকায় বিত্তবানদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তার কোটিপতি ভাইয়ের ছেলের নামও এই তালিকায় যুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নবীনগরে আলোচনার ঝড় বইছে।

জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারিতে সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যেসব হতদরিদ্ররা এখনো সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাননি, সেসব কর্মহীন মানুষের তালিকা প্রস্তুত করে জুন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সব জেলা ও উপজেলা কমিটিকে চিঠি পাঠায়।

কিন্তু ঐক্য পরিষদের নবীনগর উপজেলা কমিটি কর্তৃক পাঠানো তালিকায় সাধারণ সম্পাদক সীতানাথ সূত্রধরের ছোট ভাই শ্রীনাথ সূত্রধরের ছেলে পলাশ সূত্রধরসহ তার আরও দুই ভ্রাতুষ্পুত্র প্রফুল্ল ও অমর সূত্রধরের নামও অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল দেব জীবন ও সাধারণ সম্পাদক সীতানাথ সূত্রধর স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো ওই তালিকায় স্থানীয় একাধিক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ২১০ জনের নামের তালিকাটি স্বজনপ্রীতিতে ভরপুর। এই তালিকায় সাধারণ সম্পাদকের সম্প্রদায়ের প্রায় ৩৫ জনের নাম রয়েছে।

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় চক্রবর্তী বলেন , ‘দরিদ্রদের বদলে নিজের কোটিপতি ভাইয়ের ছেলেসহ স্বজন ও বিত্তবানদের নাম ত্রাণের তালিকায় দেওয়াটা মোটেই ঠিক হয়নি। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা নিয়ে সমালোচনা হবে, যা কখনও কাম্য নয়।’

নবীনগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীতানাথ সূত্রধর বলেন, ‘হিন্দুদের মধ্যে যার অর্থ-সম্পদ দুটোই আছে, কিন্তু করোনায় বিপদে থেকেও লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না, আমরা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে সেরকম মানুষের তালিকাই পাঠিয়েছি।’
তালিকায় নিজের কোটিপতি ভাইয়ের ছেলের নাম দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘স্বজন ও বিত্তবানদের নাম সম্বলিত তালিকা কোনোভাবেই গ্রহণ করা হবে না। পরিষ্কার বলা আছে, তালিকায় শুধু কর্মহীন হতদরিদ্রদের নাম থাকতে হবে। যদি এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’সারাদেশ থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার সংখ্যালঘু হতদরিদ্রদের নামের তালিকা পেয়েছেন জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘এসব নাম যাচাই-বাছাই করে এ মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে।’






Shares